স্টাফ রিপোর্টার:
আগামী জাতীয় সংসদ (একাদশ) নির্বাচনে ঢাকা-৬ (সূত্রাপুর-কোতয়ালী) আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন পেতে ব্যাপক ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, গেন্ডারিয়া থানা বিএনপি’র সভাপতি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৪০ নং ওয়ার্ডের সফল কাউন্সিলর, বিশিষ্ট সমাজ সেবক, শিক্ষানুরাগী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং বারবার কারানির্যাতিত বিএনপি নেতা ও রাজপথের অকুতোভয় বীরযোদ্ধা মকবুল ইসলাম খান টিপু। তিনি এখন এ আসনে ব্যাপক আলোচনায়।
দলীয় ও স্থানীয় সূত্রমতে, ঢাকা-৬ (সূত্রাপুর-কোতয়ালী) আসনে এবার পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। আর জনমুখী নানা ইতিবাচক কর্মকান্ড আর সুখে-দুঃখে সাধারণ মানুষের পাশে থাকা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, গেন্ডারিয়া থানা বিএনপি’র সভাপতি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৪০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মকবুল ইসলাম খান টিপু দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে বিভিন্ন ভাবে এগিয়ে আছেন। আগামী নির্বাচনে এই আসনে যারা বিএনপি’র ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। তাই সুখে-দুখে জনতার পাশে থাকা বিরোধী পক্ষ কর্তৃক নানান নির্যাতনে শিকার এবং দলীয় কর্মকান্ড ও আন্দোলনে অন্যতম সাহসী ভূমিকা পালনকারী হিসেবে তাকে নিয়ে এ আসনের দলীয় নেতাকর্মী সহ সাধারণ জনগণ স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। বিভিন্ন ইতিবাচক কর্মকান্ড আর বিচক্ষণ নেতৃত্বগুণে ইতিমধ্যে এই আসন বাসীর আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। তাই তারা এবার তাকেই এ আসনের এমপি হিসেবে পেতে চায়। তিনি এলাকায় নানান কর্মকান্ডে আত্মনিয়োগ করছেন। দলীয় কর্মসূচির পাশা-পাশি সামাজিক ও সেবামূলক কর্মকান্ডে তাকে সক্রিয়ভাবে যোগ দিতে দেখা গেছে। আর নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। এছাড়া এলাকার জনগণও তাকে সাদরে গ্রহণ করছে বলেও জানিয়েছে একটি সূত্র।
এ ব্যাপারে ঢাকা-৬ আসনের অনেকেই বলেন, বারবার কারানির্যাতিত বিএনপি নেতা ও রাজপথের অকুতোভয় বীরযোদ্ধা মকবুল ইসলাম খান টিপু এ আসনের জনসাধারণকে যেভাবে আপন করে নিয়ে, তাদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকেন, তা সত্যি অভূতপূর্ব। এছাড়া সে হাসি মুখে অনেকেরই মন জয় করে নিয়েছেন। তাই আমরা তাকেই আগামীতে এই আসনের এমপি হিসেবে পেতে চাই। আর তিনিই এখন এ আসনে ব্যাপক আলোচনায়।
এ ব্যাপারে মকবুল ইসলাম খান টিপু বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকার মানুষের পাশে থেকে তাদের আশা-আকাঙ্খার কথা জেনেছি। স্বাধ্যমত তাদের সেবা করেছি। আর আমি বিরোধী পক্ষ কর্তৃক নানান নির্যাতনে শিকার হয়েছি। তার পরেও দলীয় কর্মকান্ড ও আন্দোলনে সাহসী ভূমিকা পালন করেছি। তবে দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে বিজয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। তবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশ পেলেই আমি নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী। তিনি আরও বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি আবারও ক্ষমতায় এসে দেশের জনগণের কাঙ্খিত গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেবে। এজন্য দলের প্রতিটি নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবির আন্দোলনে শরিক হতে হবে। এছাড়াও আমি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমান সহ দলীয় নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধের সকল মামলা প্রত্যাহার দাবি করছি। আর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সহ দলীয় সকল কারাবন্দী নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবি করছি। এছাড়াও তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় প্রায় ৩৫% ভোটার হিন্দু ধর্মাবলম্বী। তাদের অধিকাংশই আমার পক্ষে রয়েছে।
অন্যদিকে, মকবুল ইসলাম খান টিপু এবার দলীয় মনোনয়ন পাবেন বলে আশাবাদী দলীয় বিভিন্ন নেতাকর্মী ও তার সমর্থকরা। তারা বলেন, তিনি নির্বাচনী এলাকায় নিয়মিত দলীয় কর্মসূচিসহ পথসভা, মতবিনিময় ও গণসংযোগ এবং সামাজিক অনুষ্ঠানেও যোগ দিচ্ছেন। আর তিনিই দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছেন। বিভিন্ন দূর্ঘটনায় কবলিতদের নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন ও সাধ্যমত সহায়তা করেন। তাই তিনিই মনোনয়নের দাবিদার। এছাড়া বিগতদিনে দলের জন্য তার অনেক ত্যাগ রয়েছে। তার ত্যাগ ও ব্যক্তিগত ক্লিন ইমেজের কারণে তিনি মনোনয়ন পেলেই এমপি নির্বাচিত হবেন।
খবর ৭১/ইঃ