আবু বক্কর সিদ্দিক, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়নের উত্তর উল্যা গ্রামের যুদ্ধাহত বীর- মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস আলীর পুত্র আল মামুন মাসুম। তরুণ প্রজন্মের নিকট ‘আলোকিত মানুষ’ হিসেবে ব্যাপক পরিচিত। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় হতে এমএসএস (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) শিক্ষা অর্জন শেষে বর্তমানে বাংলাদেশ ‘ল’ কলেজে এলএলবি’তে অধ্যয়ণরত এবং ঢাকায় অবস্থান করছেন। আল মামুন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক উপ-সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এএফ রহমান হলের সাবেক সহ-সভাপতি। বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়োজিত আছেন। তার যুদ্ধাহত পিতা আব্দুল কুদ্দুছ আলী রাষ্ট্রীয় সম্মানী ভাতাপ্রাপ্ত। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মামুনের পিতা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু’র সন্তান শেখ কামালের সাথে ভারতের দার্জিলিং মুজিব ক্যাম্পে ২৮ দিন ভারতের সেনাবাহিনীর অধীনে উচ্চতর গেরিলা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধ কালে লালমনিরহাটের বড়খাতা নামক স্থানে রক্তক্ষয়ী সম্মুখ যুদ্ধে পাকবাহিনীর গুলিতে বাম পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। পরবর্তীতে স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু ও তার পুত্র বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের সান্নিধ্য, সহানুভূতি ও আর্থিক সহযোগিতা পান। এমন প্রমাণ মুক্তিযোদ্ধা গেজেট নং- ৮৩২ (গাইবান্ধা), যুদ্ধাহত গেজেট নং-২৩৭৯, কল্যাণ ট্রাস্ট তালিকা নং ৪২০৩৯, লাল মুক্তিবার্তা নং- ০৩১৭০৪০০৯০ থেকে পাওয়া যায়। তার যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পিতা বর্তমানে শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড গাইবান্ধা জেলার ডেপুটি কমান্ডার হিসেবে নিয়োজিত আছেন। তিনি আওয়ামী প্রীতির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ও সক্রিয়। তবে পঙ্গুঁত্ব রোগে চিকিৎসাধীনে আছেন মাত্র। তার পুত্র আল মামুন জানান, তিনিও ছাত্র জীবনে আওয়ামী প্রীতির বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও বর্তমানের আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। বর্তমানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে তার চাওয়া-পাওয়ার রাজনীতিতে এক যুদ্ধহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসেবে ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলনে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দেওয়ার প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন। তিনি আরো বলেন, আমাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দেয়া হলে সংগঠনের কোন ক্ষতি হবে না বরং সংগঠনকে আরো শক্তিশালী কার্যক্রমে বেগবান করার প্রত্যাশায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আর্শিবাদ ও সহযোগিতা কামনা করছেন।
খবর ৭১/ ই: