মো:অাখতারুজ্জামান তালুকদার জামালগঞ্জ প্রতিনিধি:
বৈশাখ মাস কৃষক’দের সোনালি কাটার মাস।এই মাসে কৃষকরা তাদের কষ্টের ফলানো সোনালি ফসল ঘরে তুলেন।পরবর্তী এক বছর চলার জন্য এই একটি মাত্র ফসলের উপর নির্ভরশীল এলাকার মানুষ।এলাকার মানুষের বেচেঁ থাকার একমাত্র অবলম্বন ধান।আর এই ধান নিয়েই চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকগণ।ধান নিয়ে উভয় সংকটে অাছেন তারা।
টানা দু’বছর ফসল পায়নি কৃষক।গেল বছর বাঁধ ভেঙ্গে ফসল হানির পর কৃষকের স্বপ্নের শলিল সমাধি হয়েছে।এবছর হাওরের বাঁধ ভেঙ্গে যাতে ফসল ডুবির ঘটনা না ঘটে ও কৃষকেরা যাতে নিরাপদে গোলায় ধান তুলতে পাড়ে সে জন্য সরকার বৃহৎ কার্যক্রম গ্রহন করেছে।জেলার প্রতিটি হাওরে বাঁধ নির্মান করা হয়েছে।
এবছর বাঁধ ভাঙ্গার ব্যাপার নয়।প্রকৃতির হিংস্র থাবায় কৃষকদের স্বপ্ন ভঙ্গ হচ্ছে।নষ্ট হচ্ছে ধান।টানা প্রাকৃতিক দূর্যোগে হাঁফিয়ে উঠছেন কৃষক।সাহস হারিয়ে পেলেছেন তারা।দুই সপ্তাহ ধরে(১৫ দিন)রোদের দেখা না পাওয়ায় খলায় স্তুপ করে রাখা সোনালি ধানে চারা গজাচ্ছে।পছে যাচ্ছে হাজার মে:টন ধান।রোদের অভাবে কাটা ধান মাড়াই না করে স্তুপাকার করে রাখা হয়েছে।এই ঝাক দেওয়া কাটা ধানের পারায় গরম হয়ে ধান খড় নষ্ট হচ্ছে।
সাচনা ইউনিয়নের ডাকুয়ার হাওরের কৃষক অাব্দুল জব্বার বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে ধান কেটে স্তুপ করে রেখে ছিলেন। পুরো ধানে লম্বা চারা গজাচ্ছে।রোদ না থাকায় ধান নষ্ট হওয়ার উপত্রুম দেখা দিয়েছে।
পাগনার হাওরের মাতারগাঁও গ্রামের বাদল কৃঞ্চ তালুকদার জানান,টানা বৃষ্টিপাতের কারনে ধানে গেরা এসে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।রোপনের সময় পানি দেরীতে কমায় রোপন করতে দেরী হয়েছে।
কুড়ালিয়া হাওরের কৃষক অাব্দুল মন্নান বলেন,জমিতে বিধ্রান-২৯ রোপন করে ছিলাম।প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারনে ধান শুকিয়ে গোলায় তুলে পারিনি।৫ বিঘা জমির ধান খলায় স্তুপে গেরা এসে নষ্ট হয়ে গেছে।বৃষ্টিপাতের কারনে ধান কাটতে পারছি না।রোদ না হলে ধান কেটে কোন লাভ নেই।
লক্ষীপুর গ্রামের কৃষক প্রিন্স তালুকদার বলেন, এবারের সোনালি ফসল ছিল।প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারনে ধানের স্তুপে সবুজ ঘাস হয়েছে।হাওর জুরে শুধুই কৃষকদের আহাজারি।রোদ না দিলে সব কষ্ট বিপলে যাবে।
প্রান্তিক চাষীরা পড়েছেন বিরাট সমস্যায়। তাদের ফসল সঠিকভাবে তুলতে না পারলে লোকসান গুণতে হবে হাজার হাজার টাকা।
হাওর জুরে কৃষকদের ৩ ভাগের একভাগ ধান গোলায় ভরলেও ২ ভাগ ধান নিয়ে চরম বিপাকে রয়েছেন তারা।
এদিকে পাউবোর সতর্কীকরণ বার্তায় বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে কৃষকরা ধান কাটছেন।শুরু থেকেই শ্রমিক সংকটের কারনে অতিরিক্ত টাকায় এসব ধান কাটা হচ্ছে। প্রাকৃতিক অবস্হা ভাল না হলে কৃষকদের বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
খবর ৭১/ ই: