খবর ৭১ঃ জোর করে বিয়ে দিয়েছিল পরিবার। কিন্তু তা মেনে নিতে পারেনি কিশোরী নওরা হুসাইন। দাবি উঠেছে বিয়ের পর স্বামীর কাছে ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে তাকে। তাই হয়তো এক পর্যায়ে স্বামীকেই ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন নওরা। আর এর জের ধরে আদালতে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ পেয়েছেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটেছে আফ্রিকার দেশ সুদানে। নওরার স্বামীর পরিবারের পক্ষ থেকে অর্থিক ক্ষতিপূরণ ও কোনো ধরনের সমঝোতায় অস্বীকৃতি জানানোর পর গতকাল বৃহস্পতিবার এ দণ্ডাদেশ দেন আদালত।
মানবাধিকার কর্মীদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, ২০১৪ সালে ১৬ বছর বয়সে চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয় নওরাকে। কিন্তু বিবাহের অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার আগেই পালিয়ে যায় তিনি। এর পর তার বাবা তাকে স্বামীর বাড়িতে ফেরত পাঠিয়ে দেন। সেখানেই নিজের পরিবারের সদস্যদের সহায়তায় নওরাকে ‘ধর্ষণ’ করেন তার স্বামী।
পরে আবারও ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হলে স্বামীকে ছুরিকাঘাত করেন নওরা। এতেই তার মৃত্যু হয়।
এদিকে রায়ের সময় আদালতের বাইরে নওরার সমর্থনে জড়ো হন অনেকেই। তবে পুলিশের বাধার মুখে পিছু হটেন তারা।
সুবিচারের আশায় নওরার পাশে দাঁড়িয়েছে বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা। তারা জানিয়েছে, আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে। আর তাতে নওরা সঠিক বিচার পাবেন।
খবর ৭১/ইঃ