খবর৭১: আগেই জানা গেছে, সামান্য ত্রুটির কারণে পূর্বঘোষিত সময়ে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণ করা হয়নি। কারিগরি জটিলতায় স্যাটেলাইটটি পাঠানো সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে উৎক্ষেপণকারী প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। তবে এ নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই বলে নতুন করে জানালেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে জয় লিখেছেন, ‘উৎক্ষেপণের মোক্ষম সময়ের জন্য অপেক্ষা করা খুবই সাধারণ বিষয়, চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।’
ওই পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন, ‘উৎক্ষেপণের শেষ মুহূর্তগুলো কম্পিউটার দ্বারা সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। হিসেবে যদি একটুও এদিক সেদিক পাওয়া যায়, তাহলে কম্পিউটার উৎক্ষেপণ থেকে বিরত থাকে। আজ যেমন নির্ধারিত সময়ের ঠিক ৪২ সেকেন্ড আগে নিয়ন্ত্রণকারী কম্পিউটার উৎক্ষেপণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। স্পেসএক্স সবকিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে আগামীকাল একই সময়ে আবারও আমাদের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বহনকারী রকেটটি উৎক্ষেপণের চেষ্টা চালাবে। যেহেতু এই ধরণের বিষয়ে কোনো ঝুঁকি নেয়া যায় না, সেহেতু উৎক্ষেপণের মোক্ষম সময়ের জন্য অপেক্ষা করা খুবই সাধারণ বিষয়, চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।’
বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ৩টা ৪৭ মিনিটে স্পেসএক্সের ফ্যালকন-৯ রকেটে চড়ে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মহাকাশে পাড়ি জমানোর কথা ছিল। পরে সময় আরও ১৫ মিনিট বাড়িয়ে ৪টা ২ মিনিটে উৎক্ষেপণের কথা বলা হয়। তবে ৪টা ৭ মিনিটে উৎক্ষেপণের স্থগিতের কথা জানায় স্পেসএক্স।
স্পেসএক্স জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল ৪টা ১৪ মিনিট থেকে ৬টা ২০ মিনিটের (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাত ২টা ১৪ মিনিট থেকে ৪টা ২০ মিনিট) স্যাটেলাইটটি আবারও উৎক্ষেপণের চেষ্টা করা হবে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বিদেশী স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ বাংলাদেশকে গুণতে হয় ১ কোটি ৪০ লাখ ডলার। নিজস্ব উপগ্রহ উৎক্ষেপণের পর বাংলাদেশ সেই নির্ভরশীলতা কাটিয়ে উঠে অর্থ সাশ্রয় করতে পারবে বলে সরকার আশা করছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে রয়েছে মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডার। এর ২০টি বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে এবং বাকি ২০টি ট্রান্সপন্ডার প্রতিবেশী দেশ নেপাল, মিয়ানমার ও ভুটানের কাছে ভাড়া দিয়ে আয়ের পথ খুঁজবে সরকার।
খবর৭১/জি;