খবর৭১: নীলফামারীর জলঢাকা ও ডোমার উপজেলায় কালবৈশাখি ঝড়ে মা-মেয়েসহ ৭ জন নিহত হয়েছে। এতে আরও বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ে সড়কে গাছ ভেঙে পড়ায় যোগযোগ ও একইসঙ্গে ওইসব এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে জেলার এ দুই উপজেলার ওপর দিয়ে প্রচণ্ড কালবৈশাখি ঝড় বয়ে যায়। আর তাতে ডোমরা ও জলঢাকার পাশাপাশি ডিমলা উপজেলার শত শত হেক্টর জমির রোপা আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঝড়ের কবলে নিহতরা হলেন, জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল খুচিমাদা গ্রামের আলমের স্ত্রী সুমাইয়া (৩০) ও ৩ মাস বয়সী মেয়ে মনি এবং পূর্ব শিমুলবাড়ী গ্রামের মমিনুর রহমানের ছেলে আশিকুর রহমান (২২)। ডোমার উপজেলার গোমনাতি ইউনিয়নের গণি মিয়া (৪০), কেতকিবাড়ী ইউনিয়নের আফিজার রহমান (৪০), ভোগদাবড়ী ইউনিয়নের খোদেজা বেগম (৫০) ও জমিরুল ইসলাম (১২)।
জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান জানান, উপজেলায় ঝড়ে তিনজনের নিহতের খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে মা-মেয়ে রয়েছে।
ধর্মপাল ইউপি চেয়ারম্যান জামিনুর রহমান জানান, গতকাল রাতের কালবৈশাখিতে জলঢাকা উপজেলার খুচিমাদা গ্রামের আলমের স্ত্রী সুমাইয়া (৩০) ও তার তিন মাসের কন্যা মনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া পূর্ব শিমুলবাড়ী গ্রামের মমিনুর রহমানের ছেলে আশিকুর রহমান (২২) নিহত হয়েছেন।
ডোমার উপজেলায় ঝড়ে ২ নারীসহ ৪ জন নিহতের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. উম্মে ফাতিমা।
জেলার ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার বলেন, ‘ঝড়ে ধানী জমিনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সরেজমিন পরিদর্শন করা হচ্ছে।’
এদিকে প্রবল ঝড়ে সোনার ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ডিমলা উপজেলার নাওপাড়া ইউনিয়নে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে জোতিন্দ্রনাথ রায় (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম লেলিন জানান, এই কৃষক ৮ বিঘা জমিতে রোপা আমন চাষ করেছিলেন। রাতের ঝড়ে তার সব ফসল নষ্ট হয়ে যায়। সকালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যু হয়।
খবর৭১/এস: