খবর৭১:শেখ দীন মাহমুদ,পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি:পাইকগাছার দঃ সোনাতনকাটীর ৬ বছরের শিশু ধর্ষণ প্রচেষ্টা মামলার আড়াই মাস অতিবাহিত হলেও ঘটনার নায়ক লম্পট সোবহান গাজী(৬৫) কে পুলিশ গ্রেফতার করতে না পারার সুযোগে উচ্চ আদালত থেকে ৬ মাসের আগাম জামিন নিয়েছে সে। এলাকাবাসী ও নির্যাতিতার পরিবারের দাবি,আগাম জামিনের সুযোগ করে দিতেই পুলিশ তাকে ঐসময় গ্রেফতার করেনি।
পারিবারিক সূত্র ও মামলার বিবরণে প্রকাশ,পাইকগাছা উপজেলার হরিঢালী ইউনিয়নের দঃ সোনাতনকাটী গ্রামের মৃত মেছের আলী গাজীর ছেলে সোবহান গাজী (৬৫) চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারী দুপরের দিকে তার প্রতিবেশী একই গ্রামের জনৈক আবুল গাজীর নাতনী স্থানীয় একটি এনজিও ভিত্তিক স্কুলের শিশু শ্রেণির ছাত্রী (৬) কে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ প্রচেষ্টা চালায়। এসময় শিশুটির চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে সোবহান তাকে বিষয়টি কাউকে না বলতে হত্যার হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়। পরে তার নান-নানী বাড়িতে ফিরলে শিশুটি বিস্তারিত তাদের খুলে বলে। ঘটনায় তার নানা আবুল গাজী বাদী হয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারী সোবহানকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধিত)(০৩) এর ৯(৪) (খ) ধারায় পাইকগাছা থানায় একটি মামলা করে।
পারিবারিক সূত্র ও এলাকাবাসী জানায়,এর আগে সোবহানের পক্ষে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার জোর প্রচেষ্টা চালায়। তবে সর্বশেষ সাংবাদিক ও সচেতন এলাকাবাসীর প্রচেষ্টায় স্থানীয় হরিঢালী ক্যাম্পের পুলিশ এক প্রকার বাধ্য হয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারী ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিলে ঐদিনই থানা পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করে।
পারিবারিক সূত্র জানায়,শিশুটির বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর থেকেই গত প্রায় ৪/৫ বছর ধরে সে তার নানার বাড়িতেই থাকে। তবে নানা-নানী অত্যন্ত দরিদ্র হওয়ায় প্রতিদিন শিশুটিকে বাড়িতে একা রেখেই জীবিকার সন্ধানে বিভিন্ন স্থানে কাজের জন্য বেরিয়ে যায় তারা। আর এই সুযোগে এলাকার ধনাঢ্য লম্পট সোবহান তাকে ফুসলিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে ঐ সর্বনাশ করে।
নির্যাতিতার পরিবারের দাবি,অর্থ ও পেশী শক্তির বলে সেই প্রথম থেকেই মামলাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে সোবহানের পক্ষে স্থানীয় একটি মহল কাজ করছে। এমনকি মামলার তদন্ত কাজেও প্রভাবিত করছে ঐ মহল। এদিকে ঘটনার পর থেকেই সাধারণ এলাকাবাসী ঘটনা ও সোবহানকে ধিক্কার জানিয়ে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে আসলেও এক অশুভ শক্তির বলে প্রথম দিকে পুলিশ তাকে গ্রেফতারে পরোক্ষ অনীহা প্রকাশ করে। আর সেই সুযোগে হাইকোর্ট থেকে সোবহান ৬ মাসের আগাম জামিন নিয়ে ফের এলাকায় ফিরে আসে। বর্তমানে সে এলাকায় প্রকাশ্যে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এলাকবাসী এতিম শিশু যৌণ নির্যাতন মামলায় সোবহানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে স্থানীয় প্রশাসন থেকে সরকারি ও বে-সরকারি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
খবর৭১/জি: