খবর ৭১:
বিশ বছর বয়সী কিশোরী বিয়ের বৈধ বয়সের চেয়ে কম বয়সী স্বামী বেছে নিয়ে তার সঙ্গে অবাধে বসবাস করতে পারবেন। এমন একটি রায় দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। গত বছর কেরালার হাই কোর্ট ২০ বছর বয়সী থুশারার বিয়েকে বাতিল করে দিয়েছিল। সে বিষয়টি পরে সুপ্রিম কোর্টে ওঠে। এর রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, একটি প্রাপ্ত বয়স্ক যুগলের মধ্যে যদি সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং তারা একত্রে থাকা শুরু করে তাহলে তা বৈধ। যদিও পুরুষটির বয়স ২১ বছরের থেকে কম থাকে।
উল্লেখ্য, সেখানে পুরুষের বৈধ বিয়ের বয়স হলো ২১ বছর। তাই সুপ্রিম কোর্ট থুশারা নামের কিশোরীকে মুক্ত করে দিয়েছেন। বলেছেন, থুশারা অবাধে জীবনসাথী বেছে নিতে পারেন। উল্লেখ্য, গত বছর এপ্রিলে থুশারা ভালবেসে বিয়ে করেন নন্দকুমারকে। ওই সময় নন্দকুমারের বয়স ২১ বছর ছিল না। এ সময় থুশারার পিতা মামলা করে বসেন নন্দকুমারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ আনেন যে, নন্দকুমার তার মেয়েকে অপহরণ করেছে। তাই তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাদের বিয়ে ভেঙে দেয়ার আর্জি নিয়ে। এ সময় তিনি যুক্তি দেখান যখন নন্দকুমার তার মেয়েকে বিয়ে করেছে তখন তার বয়স ছিল মাত্র ২০ বছর।। তাই ওই বিয়ে বাতিল করার আবেদন করেন তিনি। এর প্রেক্ষিতে কেরালার হাইকোর্ট তাদের বিয়েকে বাতিল ঘোষণা করে থুশারাকে তার পিতার কাছে ফেরত পাঠায়। কিন্তু এ নিয়ে আপিলে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ওই যুগলের বয়স বিয়ের আইন সংক্রান্ত বৈধ বয়সের চেয়ে কম এই অজুহাতে তাদের বিয়েকে বাতিল করে দিতে পারে না হাই কোর্ট। এ রায়ের পর কেরালার থুশারা তার স্বামীর ঘরে ফিরে যাওয়ার অধিকার পেলো।