গ্রেফতারের প্রতিবাদে নির্বাচনী কার্যক্রম স্থগিত বিএনপির প্রার্থীর

0
341

খবর ৭১: প্রচারে অংশ নেয়া দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে নির্বাচনী কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছেন খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (কেসিসি) বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু।

বৃহস্পতিবার (৩ মে) সকাল পৌনে ৯টায় মহানগরীর মিয়া পাড়া রোডে নিজের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে মঞ্জু নির্বাচনী কার্যক্রম স্থগিত করার ঘোষণা দেন।

গ্রেফতারকৃতদের ছেড়ে দেয়া ও আতঙ্ক সৃষ্টি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে তিনি জানান।

নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘বুধবার (২ মে) রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা পর্যন্ত নগরজুড়ে পুলিশ ও ডিবি পুলিশের সদস্যরা ধানের শীষের নির্বাচনী প্রচারণায় জড়িত বিভিন্ন পর্যায়ের ১৯ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়া অসংখ্য নেতাকর্মীর বাড়িতে তল্লাশির নামে আতংক সৃষ্টি করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। নির্বাচনের কাজে যুক্ত থাকলে পরিণতি হবে ভয়াবহ বলেও ডিবি পুলিশ হুমকি দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বিএনপির নির্বাচনী প্রচারণামূলক সব কার্যক্রম বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।’

মঞ্জু বলেন, ‘গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মহানগর বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসুদুজ্জামান মুরাদ, মহানগর যুবদলের সভাপতি মাহবুব হাসান পিয়ারু, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা তুহিনের নাম উল্লেখযোগ্য। বিএনপিকে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরাতে ও বিএনপির নির্বাচনকে বাধাগ্রস্থ করার জন্য পুলিশের এ সাঁড়াশি অভিযান। নির্বাচনে বিএনপির বিজয়কে বাধাগ্রস্থ করতে সরকার সব ধরনের চেষ্টা চালাবে বলে আমরা ইঙ্গিত পেয়েছি।’

বিএনপির প্রার্থী বলেন, ‘খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে নিয়ে যখন মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং প্রায় সাড়ে ৯ বছর পর একটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মানুষের আগ্রহ, ঠিক তখন পুলিশের এ ধরনের অভিযান সরকারের দূরভিসন্ধি। এ অভিযানের আগে সরকারি দলের একাধিক জায়গায় সরকারি দল ও প্রশাসনের গোপন বৈঠক হয়েছে। বিএনপি কোনোভাবেই নির্বাচনী ময়দান থেকে সরবে না। নির্বাচনকে বিএনপি আন্দোলনের অংশ হিসেবে গ্রহণ করেছে।’

মঞ্জু বলেন, ‘নির্বাচনী কাজে বাধা ও অভিযানের প্রতিবাদে কঠোর কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। আগামী ৬ মে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) আসবেন। তিনি আসার আগে এসব কার্যক্রম বন্ধ না করা হলে তার সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বর্জন করা হবে।’ প্রয়োজনে সরকার ও সিইসিকে কালো পতাকা প্রদর্শন করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন মঞ্জু।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here