উপাচার্য ভবনে হামলা: মাদ্রাসা ছাত্রসহ গ্রেপ্তার ৪

0
518

খবর৭১:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের বাসভবনে হামলার ঘটনায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও মালামাল চুরির অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।

কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলন চলার সময় একপর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় উপাচার্যের বাসভবনে গভীর রাতে ব্যাপক হামলা চালিয়ে আগুন দেওয়া হয়।

হামলাকারীরা ওইসময় উপাচার্য ভবনের ব্যাপক ক্ষতি করে।
ওই ঘটনার জন্য কারা দায়ী- তা নিয়ে সেসময় কয়েকদিন ধরেই তীব্র বাকবিতণ্ডা দেখা যায় আন্দোলনের পক্ষের ও বিপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে। তবে সে উত্তর মেলেনি। এবার সে ঘটনায় গ্রেপ্তার হলো এক মাদ্রাসা ছাত্রসহ মোট চারজন।

হামলার ঘটনার পর ভিসির বাসার ভাঙচুরের নানা ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে আসতে থাকে। সেখানে দেখা যায় বাড়ির প্রবেশ মুখের কিছু দূরেই টেবিল চেয়ারে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। খাবারের টেবিল ভাঙচুর, শোবার ঘর তছনছ করা হয়েছে। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন কাগজপত্রেও।

ঘটনার রাতে অর্থাৎ গত ৯ই এপ্রিল একদল মুখোশধারী ঢুকে যখন এ হামলা চালায় তখন উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বাড়ির ভেতরেই ছিলেন।

পরে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, তিনি নিজ চোখে হামলাকারীদের ঢুকতে দেখেছেন।
উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, ‘তারা দেয়াল টপকে, সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে, বাতি নিভিয়ে দিয়ে যে বিভীষিকাময় পরিবেশ সৃষ্টি করে, তার উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন। ‘

ওই ঘটনায় ১০ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা এস এম কামরুল আহসান অভিযোগ দায়ের করেন এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে চারজনকে রবিবার ঢাকার চাঁনখারপুল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ঘটনার সময় চুরি হওয়া দুইটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলার অভিযোগে বলা হয়, সে রাতে অজ্ঞাতনামা অনেক মুখোশধারী সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারী হাতে লোহার রড, পাইপ, হেমার, লাঠি ইত্যাদি নিয়ে বেআইনিভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের বাসভবনের সীমানা প্রাচীর টপকে এবং ভবনের মূল ফটকের তালা ভেঙে ভবনের ভেতর প্রবেশ করে।

তারা বাসভবনের মূল্যবান জিনিসপত্র, আসবাবপত্র, ফ্রিজ, টিভি, লাইট, কমোড ও বেসিনসহ অনেক মালামাল ভাঙচুর করে এবং মূল্যবান সম্পদ লুট করে।

অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, হামলাকারীরা ভবনে রাখা দুইটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয় এবং আরো দুইটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ ছাড়া ভবনের সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো ভেঙে ফেলে এবং সিসি ক্যামেরার ডিভিআরগুলো আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করে ফেলে।

ঢাকা মহানগর পুলিশ বলছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে কেউই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নন। এদের একজন ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র এবং অপর তিনজনের মধ্যে একজনের নামে বরিশাল ও লক্ষ্মীপুরে কয়েকটি মামলা রয়েছে।

গ্রেপ্তার চারজনকে আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিভিন্ন মেয়াদে রিমাণ্ড দিয়েছেন আদালত।
খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here