মো:অাখতারুজ্জামান তালুকদার, জামালগঞ্জ(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:
জামালগঞ্জ উপজেলার হাওর রক্ষা বাঁধে পাহাড়া জোরদার ও যত্রতত্র বাঁধ না কাটার দাবী জানিয়েছেন উপকার ভোগী কৃষকগণ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড চলতি বোর মৌসুমে হাওর রক্ষা বাঁধ গুলো পিআইসি’র মাধ্যমে বাস্তবায়ন করেছে।উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে এসব বাঁধ ১শত পিআইসি’র মাধ্যমে বাস্তবায়ন করেছে প্রসাশন।
এ বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা কাবিটা স্কীম বাস্তবায়ন মনিটরিং কমিটির মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ১৭ কোটি টাকা ব্যায়ে এসব বাঁধের কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
আর বাঁধের কাজ বাস্তবায়নে দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি অফিসার শামীম আল ইমরান সহ সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের।
কৃষকদের বহুল প্রত্যাশিত কষ্টার্জিত ও ব্যায় বহুল গুরুত্বপূর্ণ বাঁধগুলো অক্ষত করে রাখতে প্রসাশনের কাছে বাঁধে পাহাড়া জোরদার ও যত্রতত্র বাঁধ না কাটতে ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছেন কৃষকরা।
ফসল কাটার অাগে যাতে কোন দূস্কৃতিকারী ও দুর্বৃত্তরা বাঁধ কেটে না দেয়।এজন্য বাঁধে পাহাড়া জোরদার করতে,ফসল কাটা শেষ হলে
হাওরের পানি নিস্কাশনের রাস্তা ব্যতিত অন্য কোন জায়গায় দিয়ে বাঁধ না কাটার পরামর্শ দিয়েছেন হাওর অান্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
এতে শঙ্কামুক্ত ভাবে কৃষকগণ ফসল কাটতে পারবে।বাস্তবায়িত বাঁধের স্থায়ীত্ব বজায় থাকবে।সরকারের অর্থ অপচয় রোধ হবে।এই সমস্ত বাঁধ দিয়ে কয়েকটি ফসল রক্ষা করা যাবে বলে মনে করেন তারা।
এ ব্যাপারে হাওর বাচাঁও জামালগঞ্জ বাচাঁও অান্দোলনের যুগ্ন আহবায়ক জহিরুল হক তালুকদার বলেন,এসব বাঁধের সঠিক অবস্হান ধরে রাখতে হলে উপজেলা প্রসাশন ও জন প্রতিনিধিগণ কে উদ্যোগ নিতে হবে।
ফসল কাটা শেষ হলে যত্রতত্র যাতে কেহ বাঁধ কাটতে না পারে এজন্য জন সচেতনতা সৃষ্টি সহ প্রসাশনের উপস্থিতিতে নির্দিষ্ট জায়গা দিয়ে পানি চলাচলের ব্যাবস্থা দাবি জানান তিনি।
চলতি বৈশাখ/জৈষ্ঠ মাসে বৃষ্টিপাতের সাথে সাথে নদীতে নতুন পানি বৃদ্ধি পেলে হাওরে মাছ ধরার হিড়িক পড়ে যায়।অতি উৎসাহী মৎস্য শিকারিদের যত্রতত্র হাওরের বাঁধ কেটে মাছ ধরার প্রবনতা রয়েছে দূর অতীতেও।
সম্প্রতি টাংঙ্গুয়ার হাওরে বাঁধ কেটে দেওয়ার ঘটনায় কৃষকরা চিন্তিত হয়ে পড়ছেন।ধারনা করা হচ্ছে এবছরও কতিপয় মৎস্য শিকারিগণ এসব বাঁধ কেটে ফসল ও বাঁধের ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে।
এছাড়া অসাধু কিছু স্বার্থোন্বেষী মহল কৌশলে এসব বাঁধ কেটে দিতে পারে এমন অাশংকা করছেন অনেকেই।
পাগনার হাওরের হটামারা গ্রামের কৃষক আব্দুল হেকিম বলেন,ধান কাটার আগ পর্যন্ত বাঁধে পাহাড়া দেওয়া প্রয়োজন।পাশ্ববর্তী দিরাই উপজেলার বাঁধের নিকটবর্তী কয়েকটি গ্রামের কৃষকদের ধান কাটা শেষ হলেই বাঁধ কেটে দিতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন।
তখন আমাদের অনেক জমির ধান কাটার বাকি থাকে।যাতে করে ঐ এলাকার লোকজন বাঁধ কেটে দিতে না পারে সেই জন্য জরুরি ভাবে ব্যাবস্তা নেওয়া উচিত।
এসব বাঁধ রক্ষা করতে প্রকল্প এলাকার সকল পিআইসিকে সক্রিয় ভাবে দায়িত্ব পালনের দাবি জানান কৃষকগণ।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও কাবিটা স্কীম বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির সভাপতি শামীম আল ইমরান বলেন,অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আমরা নজরদারি রাখছি।
তাছাড়া সংশ্লিষ্ট পিআইসিদের বাঁধে সার্বক্ষণিক টহল জোরদার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।সাথে সাথে অাইন শৃংখলা বাহিনী কে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে।
খবর ৭১/ ই: