পাবনা প্রতিনিধি :
শ্বশুড় বাড়ি থেকে স্ত্রীকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে জামাইয়ের বেধড়ক মারপিটে শ্বশুড় আব্দুস সাত্তার (৫৮) নিহত এবং শাশুড়ী সাবিয়া খাতুন আহত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের সোনাহারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবদুস সাত্তার পৌর শহরের আফ্রাতপাড়া মহল্লার মৃত শুকুর আলীর ছেলে। তিনি দ্বিতীয় বিয়ের পর দীর্ঘদিন সোনাহারপাড়া গ্রামে বসবাস করছিলেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের বিয়াই আব্দুল জলিল ও তার স্ত্রী সালমা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তিন বছর আগে সাত্তারের মেয়ে রত্না খাতুনকে বিয়ে দেয়া হয় একই উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে লিমনের সাথে। নিহত আবদুস সাত্তারের মেয়ে রত্না খাতুন গত এক সপ্তাহ আগে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। শুক্রবার বিকেলে রত্নাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য আসেন তার শ্বশুড় আবদুল জলিল। আবদুল জলিল এসে দেখেন তার বৌমা রত্না খাতুন তাদের এক নিকট আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেছেন। এ সময় মোবাইলে বিষয়টি ছেলে লিমনকে জানালে সে তার শ্বশুড় বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জেনে শ্বশুড় আবদুস সাত্তারের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। এ নিয়ে লিমন ও তার পিতা আবদুল জলিলের সাথে রতœার বাবা আবদুস সাত্তারের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে লিমন ও তার পিতা মিলে আবদুস সাত্তারকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারপিট শুরু করে। এ সময় আবদুস সাত্তারের স্ত্রী সাবিয়া খাতুন বাধা দিতে গেলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে লিমন ও তার পিতা পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী আহত দু’জনকে উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবদুস সাত্তার। খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাবনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত চাটমোহর থানার ওসি (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের বিয়াই জলিল ও তার স্ত্রী সালমা খাতুনকে আটক করা হয়েছে।
খবর ৭১/ ই: