ইতিহাস গড়ে দক্ষিণ কোরিয়া সফরে কিম

0
379

খবর ৭১: উভয় দেশের মাটি ও পানি ব্যবহার করা হবে। তার পর মুন এবং কিম দ্বিতীয় দফা বৈঠক করবেন এবং উত্তর কোরীয় প্রতিনিধিদলের বিদায়ী অনুষ্ঠানে আগে তারা নৈশভোজে মিলিত হবেন।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনের মধ্যকার বিরল বৈঠকটি সাম্প্রতিক সময়ের প্রধান আন্তর্জাতিক ইস্যু হয়ে উঠেছে। কোরীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে তাই দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চল পানমুনজামের দিকে তাকিয়ে আছে বিশ্ব।

এর আগে গত ৬৫ বছরে দুই কোরিয়ার নেতারা দুইবার আলোচনায় বসেছিলেন ঠিকই কিন্তু দুইবারই বৈঠক আয়োজন করা হয়েছিল পিয়ংইয়ংয়ে। কোরীয় যুদ্ধ অবসানের ৬৫ বছর পর এবারই প্রথম কোনও উত্তর কোরীয় রাষ্ট্রনায়ক আলোচনার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ায় গেলেন।

ব্যতিক্রমী এ বৈঠকের ফলাফল কী হবে তা নিয়ে তাই কৌতুহল তৈরি হয়েছে। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উনের মধ্যকার সম্ভাব্য বৈঠককে সামনে রেখে কিম-মুন সম্মেলনের দিকে নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্রও। মুন প্রশাসনের এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, কিমের সঙ্গে সাক্ষাতের আগেই মুনের সঙ্গে বৈঠক করবেন ট্রাম্প।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন হলেন দেশটির প্রতিষ্ঠাতার দৌহিত্র। আর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন উত্তর কোরীয় শরণার্থীর সন্তান। উত্তর কোরিয়া থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় শরণার্থী হয়ে এসেছিলেন তার বাবা। শুক্রবার এ দুই ব্যক্তি (মুন ও কিম) পরস্পরের সঙ্গে প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসছেন।

কেবল তাই নয়, ১৯৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধে বিরতির পর এটি উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে তৃতীয় বৈঠক। কিমের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধি দলে থাকবেন আরও ৯ জন কর্মকর্তা। এর মধ্যে রয়েছেন: কিমের বোন কিম ইয়ো-জং, দক্ষিণ কোরিয়ায় হামলাকারী সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা কিম ইয়ং চোল এবং জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা শীর্ষ কর্মকর্তা চোয়ে হোয়ি। এদের তিনজনই ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত শীতকালীন অলিম্পিকে যোগ দিতে দক্ষিণ কোরিয়া গিয়েছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here