উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রথমেই যে নাম আসে, সেটা হলো পুলিশ। বলা হয়ে থাকে পুলিশ জনগণের সেবক। পুলিশ দেশমাতার নির্ভীক সৈনিক। পুলিশ সদাজাগ্রত বীর। পুলিশ জনগনের বন্ধু। বিপদে যার কাছে আশ্রয় নেয়া যায় তিনিই বন্ধু। শুধু তাই নয় পুলিশ সমাজের ভারসাম্য রক্ষা করে। অপরাধ নিমূলে সচেষ্ট থাকে, থাকে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্বে। এগুরু দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে চাই দেশ প্রেম। দলমতের উর্দ্ধে থেকে নিজ দায়িত্ব পালন করতে পারলেই যেমন সফল হওয়া যায়। তেমনি দক্ষ, সৎ, সাহসী পুলিশ অফিসার দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করবে এটাই কাম্য। জনগনের নিরাপত্তা বিধান ও আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে যোগ্য, সৎ, সাহসী, পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তেমনই এক জন দেশমাতার নির্ভীক সৈনিকের সন্ধান মিলছে জেলা পুলিশে। তিনি হলেন নড়াইল পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন পিপিএম। তিনি যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে জেলার পুলিশ অফিসারদেরকে চৌকস করে গড়ে তুলতে প্রতি মাসে আইন-শৃঙ্খলা মিটিংয়ে তাদের সম্মানিত করেন। এসব চৌকস অফিসারদের নিয়ে রাত দিন একাধিক ভুমিদূস্য, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী, জাল টাকা ব্যবসায়ী, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, চোর, ডাকাত গ্রেপ্তারে বিশেষ অবদান রাখছেন। যার ফলে জেলাজুড়ে ৪ থানা ও পুলিশ বিভাগের প্রতি জনগনের স্বস্তি আসা ও বিশ্বাসের সৃষ্টি হয়েছে। ইতিপূর্বে অন্য কেউ এমন বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়নি। এসপি হিসেবে যোগদান করার পর থেকেই নড়াইলবাসী পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন পিপিএম যেন এক নিরাপত্তার চাদরে বসবাস করছে। এর আগে হরহামেশা চোখে পড়তো অপকর্মের সব বড় বড় ঘটনা। প্রকাশ্যে দিবালোকে ও অনেকেই দেখেছে অপরাধীদের অপকর্মের ঘটনা। যার কারনে সে সময় সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে অনেক ব্যবসায়ীরাই ছিনতাই আতংকে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সাথে সাথেই বাড়ী ফিরছে। কিন্ত সেই ভুতুরে নড়াইল এখন আলোয় পরিণত করতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম। এখন অপরাধ অনেকটাই কমে এসেছে। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো, সহিংসতায় ভরপুর, ভাংচুর, সংঘর্ষ। সেই নড়াইলে সহিংসতার ঘটনা তিনি নামিয়ে এসেছেন প্রায় শুন্যের কোঠায়। তিনি সারাক্ষণ নিজে মনিটরিং করছেন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে। জনগণের নিরাপত্তায় সারারাত ডিউটি করছেন পুলিশ অফিসাররা। এসব ডিউটি রাত ঘুরে মনিটরিং করছেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম নিজেই। এছাড়াও, মনিটরিং করতে রাতের বেলায় পাঠাচ্ছেন জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের। কয়েকদিন আগে অফিস থেকে ফেরার পথে দেখলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম সাজোয়া গাড়ি থেকে নামছেন। কথা বলছেন ডিউটিরত পুলিশদের সাথে। সত্যিই অবাক হয়ে গেলাম। অবাক হয়ে গেছেন মানুষও। এছাড়াও, তিনি পুলিশ লাইন ও পুলিশ সুপার কার্যালয় সাজিয়েছেন মনের মতো। নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম, ত্রর নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম পিপিএম, সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ মেহেদী হাসান, সহকারি পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার্স) জালাল উদ্দিন, নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন, নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক আমিনুজ্জামান সহ ৩ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাবৃন্দসহ নড়াইলে কর্মরত পুলিশের সকল ইউনিটের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। তিনি সম্মান করেন সাধারণ মানুষকে। মানুষের আপদে-বিপদে কাছে থাকতে চান। সে জন্যই বিচিত্র সমস্যা নিয়ে সাধারণ মানুষ ছুটে আসে তাঁর কাছে। সাধ্যমতো তিনি চেষ্টা করেন সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানে। এছাড়াও, সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএমের অবাধ বিচরণ। কোন পুলিশ সুপার এর আগে সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন কি না আমার অন্তত জানা নেই। কিন্তু কোন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করলেই ছুটে গেছেন তিনি। এজন্য সাধারণ মানুষের কাছে তিনি হয়ে উঠেছেন নির্ভরতার প্রতিক। হয়ে উঠেছেন বন্ধু। সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে একান্ত আলাপকালে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম, নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, সচেতনতা বৃদ্ধি, সাংবাদিক, কমিউনিটি পুলিশসহ সাধারণ মানুষের আন্তরিক সহযোগিতা পেলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। হরতাল-অবরোধে প্রতিটি স্থানে সঠিকভাবে দায়িত্বপালন করছে পুলিশ। এ জন্য জেলায় কর্মরত সকল পুলিশ সদস্যকে ধন্যবাদ জানান তিনি। এছাড়াও তিনি বলেন, পুলিশ সুপার হিসাবে সিনিয়র অফিসার, প্রিয় সহকর্মী, শুভানুধ্যায়ী এবং এলাকাবাসীর ভালবাসায় আমি আবেগাপ্লুত। নড়াইলের সাধারণ মানুষ এমন একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান পুলিশ অফিসার পেয়ে অনেক গর্বিত। নড়াইলে এমন অফিসার খুবই প্রয়োজন। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপি এম, এর মতো অফিসার নড়াইল বাসী কখনোই পায়নি। ভবিষ্যতে পাবে কি না তাও জানে না। যেদিন তিনি নড়াইল থেকে বিদায় নিবেন, আমার বিশ্বাস অনেক সাধারণ মানুষ চোখের জল ফেলবে। আপনার মতো মানুষের সংস্পর্শে এসে আমি গর্বিত। স্যালুট, আপনাকে। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম এর সহধর্মীনির নাম নাহিদা সুমি। তিনি ছেলে বড় ও এক কন্যা সন্তানের জনক। বিদ্যালয়ে লেখা পড়া করছে।
খবর৭১/জি: