উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শতধিক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সহ তিনজনকে আটক করা হয়। নড়াইল সদর উপজেলার আউড়িয়া ইউনিয়নের চৌগাছা গ্রামে দেশীয় অস্ত্র তৈরির সময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঢাল, সড়কি, রামদা, ছোড়া সহ শতাধিক অস্ত্রশস্ত্রাদি উদ্ধার করেছে। এসময় ঘটনার সাথে জড়িত ৩ জনকে আটক করেছে। নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, সদর থানার চৌগাছা গ্রামে মৃত খালেক ভূইয়ার ছেলে অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি হাবিলদার আইউব ভূইয়ার বাড়িত্বে ইন্সপেক্টর অপারেশন জনাব আমান উল্লাহ, এস আই মিহির, এস আই নূর মোহাম্মদ, এস আই অহিদ, এ এস আই আনিছ ও এ এস আই রেজা, এ এস আই ইলিয়াছ, ও ফোর্স সহ নিয়মিতভাবে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে এলাকায় বড়ধরনের গোলযোগ সৃষ্টি করে আইনশৃংখলার অবনতি ঘটানোর লক্ষে ঢাল, সড়কি তৈরীর সময় তৈরীকৃত বিপুল পরিমান ঢাল সড়কি, দেশীয় ধারালো অস্ত্র, ও ঢাল সড়কি তৈরীর বিভিন্ন সরঞ্জমদী সহ আইউব ও তার দুইজন সহযোগীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে। অভিযানে খুশি হয়ে পুলিশ সুপার, সার্কেল এ এস পি, ও ডিবির টিমকে সাথে নিয়ে দ্রত ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে ধন্যবাদ জানান।।। আমাদের পক্ষথেকে পুলিশ সুপারকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাতে চাই যে, স্যারের সুদুর প্রসারী চিন্তগঠনমূলক দিকনির্দেশনা, সাহসী ও যৌক্তিক সিদ্ধান্তে আমরা নড়াইল পুলিশ আইনশ্ংখলা বিগ্নকারী সহ সকলপ্রকার অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে নড়াইলের সাধারণ মানুষের শান্তি ফিরিয়ে আনবোই ইনশাল্লাহ। সকলের দোয়া ও সহযোগীতা কামনা করছি। বুধবার (২৫ এপ্রিল) নড়াইলের ‘আউড়িয়া ইউনিয়নের চৌগাছা গ্রামে সংঘর্ষের প্রস্তুতি হিসেবে দেশীয় অস্ত্র তৈরি করা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশে সদর থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালানো হয়। অভিযান চালিয়ে ওই গ্রামের আইয়ুব হোসেন ভূইয়ার বাড়ি থেকে ২২টি ঢাল, ৫০টি সড়কি, ১০টি ড্যাগার ও ২০টি রামদা-ছোরা উদ্ধার করা হয়। এসময় আইয়ুব হোসেন ভূইঁয়া, জাকির ভূইঁয়া ও আকরাম শেখকে আটক করা হয়’। নড়াইলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, চৌগাছা গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। দু’সপ্তাহ আগে ওই গ্রামের দুটি পক্ষের অন্তত ১৫ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা গ্রামে আর মারামারি করবে না এই মর্মে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পায়। কিন্তু পুনরায় তারা সংঘর্ষের প্রস্তুতি হিসেবে অস্ত্রশস্ত্রাদি তৈরি করছিলো। জানা গেছে, নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক আমিনুজ্জামান এর নের্তৃত্বে এসআই নয়ন, এএসআই সোহেল
এএসআই হাবিব, কনস্টেবল ওলিয়ার, আজাদ হুসাইন, সোহাগ ও জব্বার ,সুজন গ্রেফতার করে। ডিবি পুলিশের চৌকশ টিমের সদস্যরা। এ প্রসঙ্গে নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক আমিনুজ্জামান নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শতধিক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সহ তিনজনকে আটক করা হয়। আটক তিনজন কিছুদিন আগে মুচলেকা দিয়েছিল যে তারা আর মারামারি করবে না। কিন্তু পুনরায় সংঘর্ষের প্রস্তুতি হিসেবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রাদি তৈরি করছিল। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
খবর ৭১/ এস: