খবর ৭১ঃ মিডিয়ার সবচেয়ে বড় নেটওয়ার্কিং সাইট ‘ফেসবুক’এ অপ্রীতিকর ঘটনা নতুন বিষয় নয়। সম্প্রতি তথ্য কেলেঙ্কারির ঘটনায় বেশ চাপের মুখে পড়েন প্রতিষ্ঠাটা মার্ক জাকারবার্গ। এছাড়া মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিধনযজ্ঞ-হত্যাকাণ্ডের ধারণ করা ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার হওয়াতেও তুমুল সমালোচনায় পড়েন জাকারবার্গ। আর তাইতো ভবিষ্যতে এ ধরণের অপরাধ রুখতে বেশ কিছু নিয়ম বেঁধে দিলো ফেসবুক। এ নিয়মগুলো অমান্য করলেই বন্ধ করা হবে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট।
গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মেট্রোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সামাজিক এই যোগাযোগমাধ্যম সম্প্রতি ‘কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড’ নামে ছয়টি নিয়ম প্রকাশ করেছে। যার একটিও যদি কেউ লঙ্ঘন করে তবে ফলাফল হিসেবে হারাবেন নিজের অ্যাকাউন্টটি। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক যে ছয়টি নিষিদ্ধ নিয়ম করেছে ফেসবুক।
হুমকি বা সহিংসতামূলক বিষয়বস্তু
প্রথম নীতি লঙ্ঘনকারী বিষয়টি হচ্ছে, পোস্টে কোনো ধরনের হুমকি বা সহিংসতামূলক বিষয়বস্তু দেখানো যাবে না। এমনকি মাদকদ্রব্য বা অস্ত্র বিক্রি করার কথা উল্লেখ করেও কোনো প্রকার পোস্ট দেওয়া যাবে না বলে নিয়ম করা হয়।
নিরাপত্তা
ফেসবুকে দ্বিতীয় প্রধান নিষিদ্ধ কারণ হিসেবে ‘নিরাপত্তা’ উল্লেখ করা হয়েছে। এর মানে, কোনো ব্যক্তিকে মানসিক আঘাত করে কোনো প্রকার পোস্ট,হয়রানি বা ছবির অপব্যবহার করা যাবে না। এক্ষেত্রে শারীরিকভাবে কাউকে কোনো প্রকার হেয় করে পোস্ট দিতে নিষেধ করা হয়েছে।
আপত্তিকর বিষয়বস্তু
তৃতীয় বারণ করা বিষয়টি হলো, ফেসবুকে কোনো ধরণের আপত্তিকর বিষয় নিয়ে পোস্ট করাকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পোস্টে ঘৃণাত্মক বক্তব্য,গ্রাফিক সহিংসতা,নগ্নতা বিষয়ক কিছু পাওয়া গেলেই তাকে শাস্তি দেওয়া হবে বলে আরও জানিয়েছে ফেসবুক।
সততা ও সত্যতা
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অবশ্যই তাদের বিষয়বস্তুতে ‘সততা ও সত্যতা’নিশ্চিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো ধরণের স্প্যামিং, ছদ্মবেশ ধারণ প্রোফাইল কিংবা ফেক নিউজ ছড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে ফেসবুক।
কপিরাইট মানা
ফেসবুকের নিষিদ্ধ পঞ্চম নীতিমালায় বলা হয়, ‘মেধা সম্পত্তির সম্মান’ করতে হবে। অর্থাৎ কারো ‘কপিরাইট,ট্রেডমার্ক এবং অন্যান্য আইনি অধিকারকে’ নিজের প্রোফাইলে আপলোড করা যাবে না।
বিষয়বস্তু সম্পর্কিত অনুরোধ
সর্বশেষ নিষিদ্ধ বিষয়টি হচ্ছে, সরকার কর্তৃক কোনো বিষয় যেমন শিশু নির্যাতনের চিত্রনাট্য অপসারণের অনুরোধ করা হয়। অথচ কেউ যদি তা উপেক্ষা করে নির্যাতনের মতো স্থির চিত্র ধারণ করে ফেসবুকে পোস্ট করেন, তবে আজীবনের জন্য ব্যান হতে পারে তার আইডি।
এক্ষেত্রে আচরণ লঙ্ঘনকারীকে কয়েকটি ধাপে সুযোগ দেওয়া হবে। নিষিদ্ধ নীতিতে বলা হয়, উপরের আচরণবিধিগুলো লঙ্ঘনের জন্য প্রথমে উক্ত ব্যক্তিকে সতর্ক করা হবে। পরবর্তী ধাপে, তার ফেসবুকে পোস্ট করা বা তার প্রোফাইলকে অক্ষম করা হবে। এরপরও যদি দেখা যায়, তিনি জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ কার্যকলাপে অংশ নিয়েছেন। তবে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে ফেসবুক।
খবর ৭১/ইঃ