সরকার পতনের ভয়েই খালেদা জিয়াকে বন্দি: ফখরুল

0
285

খবর৭১: ভয়ে ও আতঙ্কিত হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জেলে বন্দি করেছে সরকার বলে দাবি করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলমা আলমগীর।

মির্জা ফখরুল, ‘আমরা জানি এই সরকার বেগম জিয়াকে কেনো আটকে রেখেছেন? তার একটি মাত্র কারণ হচ্ছে তারা অত্যন্ত আতঙ্কিত যে যদি বেগম খালেদা জিয়া বাহিরে থাকেন তাহলে গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য যে আন্দোলন হচ্ছে এই আন্দোলনকে তারা কোনভাবেই প্রতিরোধ করতে পারবেন না।এবং তাদের পরাজয় অবশ্যম্ভাবী হবে।’

বুধবার (২৫ এপ্রিল) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যে মহান নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সারাটি জীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই সংগ্রাম করেছেন সেই নেত্রীকে একটি ভূয়া সাজানাে মামলায় ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী সরকার অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকিয়ে রেখেছে।এবং এটি কোনো কারাগার? এমন একটি কারাগার যেটা পরিত্যাক্ত কেউ সেখানে বাস করে না সেই কারাগারে তাকে একটি স্যাঁতস্যাঁতে ঘরের মধ্যে রাখা হয়েছে। ক্রমান্বয়ে কারাগারের মধ্যে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাঁর স্বাস্থ্য ভেঙে পড়েছে। শুধু মাত্র কালকে ছাড়া গত ১৪ দিন যাবত আমরা কেউ তার সাথে কোনো সাক্ষাৎ করতে পারি নাই। গতকাল তার পরিবারের সদস্যরা দেশনেত্রীর সাথে দেখা করেছেন। তাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি তিনি এতই অসুস্থ্ হয়ে পড়েছেন দোতলা থেকে নিচের তালায়ও আসতে পারছেন না।’

তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়ার চিকিৎসার জন্য আমরা বারবার সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়ে আমরা বলেছি তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা ব্যক্তিগত চিকিৎসকদেরকে দিয়ে চিকিৎসা করার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল বিশেষ করে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া প্রয়োজন। আমরা বারবার বলেছি তাকে চিকিৎসার জন্য যে ধরনের এমআরআই করার দরকার সেটা অন্য কোথাও সম্ভব না। এর ব্যবস্থা অন্য কোথাও নেই। এতো কিছু বলার পরেও কয়েকদফা ডাক্তাররা যাওয়ার পরেও এখন ও পর্যন্ত তাকে কোনভাবেই নিজস্ব চিকিৎসকদেরকে দিয়ে তার পছন্দ মতো চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না।যার জন্য আমাদের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন তারপরেও না দেয়া অত্যন্ত দুঃখজনক।’

মানবন্ধনে আরও অংশ নেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, মো. শাজাহান,আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদ অ্যাডভোকেট আব্দুল সালাম আজাদ, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ হাজারো নেতাকর্মীরা।
খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here