এম এম আতাউর রহমান, বগুড়া প্রতিনিধি:
১৯ এপ্রিল, সড়ক-মহাসড়কে দূর্ঘটনা ও মৃত্যুর মিছিল কিছুতেই থামছে না। চালকের অবহেলা, অনভিজ্ঞতা, অদক্ষতা কিংবা আরোহীদের অসচেতনতা যাই বলি না কেন, সড়ক দূর্ঘটনা যেভাবে দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে মহাকার ধারণ করছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। প্রতিটি দূর্ঘটনার পেছনে আলাদা আলাদা কারণ রয়েছে। ড্রাইভারদের চোখে ঘুম ঘুম ভাব অবস্থায় গাড়ি চালানো, ট্রাফিক আইন মেনে না চলা, বেপরোয়া ভাবে পাল্লা দিয়ে ওভারটেকিং এবং সড়কের বেহাল দশায় মূলত এই অনাকাঙ্ক্ষিত সড়ক দূর্ঘটনা ঘটছে। সেই সাথে ঝড়ে যাচ্ছে প্রিয়জনের চির চেনা মুখ। দূর্ঘটনা ঘটলে যে শুধু যানবাহনের ক্ষয়ক্ষতি হয় তা কিন্তু নয়, প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে অহরহ। এরই ধারাবাহিকতায় বগুড়ার মহাস্থানে বাস-ট্রাকের ভয়াবহ মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। সদর উপজেলার ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের দিঘলকান্দী নামক স্থানে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধা পৌঁনে ৬ টায় এদূর্ঘটনা ঘটে।
দূর্ঘটনায় বাসের সামনের ড্রাইভার কেবিন সহ একাংশ দুমড়েমুচড়ে ধসে যায়। এবং ট্রাকটি উল্টে যায়। এতে ১৫জন আহতের খবর পাওয়া গেলেও তাদের পরিচয় তাৎক্ষণিক ভাবে নিশ্চিত করা যায়নি। দূর্ঘটনার পর স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শজিমেক) নিয়েছে পুলিশ। এসময় সড়কের উভয় পাশে শতশত যানবাহন আটকা পড়ে দীর্ঘ যানজটে পরিনত হয়। গোবিন্দগঞ্জ থানার হাইওয়ে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেনন। গোবিন্দগঞ্জ স্পেশাল পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকা থেকে রংপুরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীতমুখী বগুড়াগামী একটি চুনবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের এঘটনা ঘটে। দূর্ঘটনা কবলিত বাস ও ট্রাক মহাসড়কের মাঝ থেকে সরিয়ে নিলে প্রায় ১ ঘন্টা পর মহাসড়কে সকল প্রকার যান চালাচলে স্বাভাবিক হয়। তিনি আরও জানান, দূর্ঘটনার কারন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চালকদের পরিচয় নিশ্চিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরেজমিনে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দুটি যানবাহনই বেপরোয়া গতিতে চালানোর কারণে এ দূর্ঘটনা ঘটেছে। দূর্ঘটনার পর ট্রাক মহাসড়কের মাঝামাঝি স্থানে উল্টে যায়। এবং বাসের সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়।
খবর৭১/জি: