শেখ কাজিম উদ্দিন, বেনাপোল প্রতিনিধি : সংসদ সদস্য আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিন বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল। যেপথ দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হয়। আমদানি রপ্তানি কারকদের পণ্য পরিবহনে খরচ কম হয়। সে কারণে এই বন্দর দিয়েই সকল ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসার প্রসার ঘটাতে চায়। তাই, ব্যবসায়ীদের এই বন্দরের দিকে আরো আকৃষ্ট করতে হলে এখানকার সকল ধরণের চুরি বন্ধ করতে হবে। এ বন্দর ব্যবহারকারিদের সাথে এখানকার সকল শ্রমিকদের ব্যবহার আরো মধুর করতে হবে। ভারত-বাংলাদেশ ট্রাকের ড্রাইভার তথা সিএন্ডএফ বা ট্রান্সপোর্ট মালিক বা কর্মচারিদের কাছ থেকে জোর পূর্বক বকশিষের টাকা নেওয়া যাবে না। নম্রতার সহিত বকশিষের টাকা নিতে হবে। বিনিময়ে শ্রমিকদের সকল স্বার্থসহ বন্দরের প্রয়োজনে যা কিছু করার দরকার তা আমি করব।
বুধবার (১৮ এপ্রিল/১৮) বেনাপোল স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ও বন্দর পরিচালকসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে এক উন্নয়নমুখী সাক্ষাতকারে কথাগুলী বলেন শেখ আফিল উদ্দিন এমপি।
এদিন, বেলা ১১ টার সময় হঠাৎ বেনাপোল বন্দর অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন তিনি। এ সময় বন্দরের শ্রমিক সংগঠনগুলো ও বন্দরের কর্মকর্তারা তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। পরে প্রচন্ড রোদকে উপেক্ষা করে ধূলা-বালির ভিতর দিয়ে পায়ে হেঁটে বন্দরের শেড, ইয়ার্ড, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা, শ্রমিকদের ক্যান্টিন ব্যবস্থা, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, বিশ্রামাগারের ব্যবস্থা, নামাজের স্থান, টয়লেটের ব্যবস্থা, আমদানি-রপ্তানি কারকদের পণ্য লোড-আনলোডের স্থান, বিড়ম্বনার কারণ, এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাসহ বিবিধ বিষয় খতিয়ে দেখেন তিনি। পর্যায়ক্রমে ছায়ার মতো পাশে থাকা বন্দর পরিচালক আমিনুল ইসলামসহ বন্দরের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে পরামর্শ করে তড়িৎ গতিতে সমাধানের চেষ্টা করেন তিনি (হোক সে সরকারি কোষাগার অথবা এমপি শেখ আফিল উদ্দিনের নিজস্ব তহবিলের টাকা)।
তিনি বলেন, বেনাপোল বন্দরের উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। কারণ, এ বন্দরের উপর হাজার হাজার মানুষের জীবিকা নির্ভর করে। এখান থেকে উপার্যিত টাকায় এসকল পরিবারের সন্তান পরিজনদের বাসস্থান, চিকিৎসা, লেখাপড়া, আত্মীয় পরিজনদের সাথে সৌহাদ্য সম্প্রীতি, সর্ব্বপরি বেনাপোল বন্দর থেকে আহরণকৃত বিপুল পরিমাণে রাজস্ব দেশের চাকা সচল রাখতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। তাই, এই বন্দরকে উন্নয়ন করতে যা কিছু দরকার, প্রয়োজনে বন্দর ব্যবসহারকারিরা আমাকে ব্যবহার করেন। আমার কায়িক পরিশ্রমসহ সকল ধরণের সহযোগিতা এমনকি অর্থনৈতিক সুবিধা বেনাপোল বন্দরের উন্নয়নে পাথেয় হয়ে থাকবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক(ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম, সিবিএ’র সভাপতি জাবেদী বিল্লা, সিনিয়র সহ-সভাপতি মনির হোসেন মজুমদারসহ বন্দরের সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তা, যশোর জেলা পরিষদের সদস্য ও বন্দরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রোপাইটর অহিদুজ্জামান অহিদ, শার্শা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম সরদার, বেনাপোল পৌর সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, যুবলীগ নেতা জসীম উদ্দিন, বেনাপোল বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন(৮৯১)’র সভাপতি কলিম উদ্দিন কলি, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জানে, ৯২৫’র নেতা রাজু আহমেদ, বেল্টু সরদার, কামাল হোসেন, নাসির উদ্দিন, আলম সরদার, বাবু সরদারসহ সকল শ্রমিক নেতা-কর্মীরা।
খবর৭১/জি: