খবর ৭১ : প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে খুলনা ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। এর প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আপাতত স্থানীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা নেই।
বিএনপির অন্যান্য দাবির ব্যাপারে হেলালুদ্দিন আহমেদ জানান, এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন পরবর্তিতে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।
এর আগে আজ সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এছাড়া চার কমিশনার ও কমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বেলা ১১টায় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদাকে লিখিত আকারে দাবি জানায় তারা। লিখিত দাবিনামায় উল্লেখ করা হয়, দুই সিটি নির্বাচনের সাতদিন আগে থেকে নির্বাচনী এলাকায় টহলসহ প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সেনা মোতায়েন করতে হবে।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুণ অর রশীদকে প্রত্যাহার করারও দাবি জানিয়েছে বিএনপি। কেননা, নির্বাচনী অনিয়মের কারণে ২০১৬ সালে কমিশন তাকে প্রত্যাহার করেছিল। তিনি ২০১১ সালে ৬ জুলাই সেই সময়ের বিরোধীদলীয় চিপ হুইপ ও বিএনপি নেতা জয়নুল আবদীন ফারুককে পিটিয়েছিলেন। এছাড়া নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত করার কথাও দাবিনামায় উল্লেখ রয়েছে।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল উপস্থিত হয়। অন্য সদস্যরা হলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ।