রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগরে এক ইয়াবা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এক ওয়াচ কং ডিএসবি (ডিস্ট্রিক সিকিউরিটি ব্রাঞ্চ) মো: কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ডিএসবির বিভিন্ন হুমকি-ধামকির ভয়ে বর্তমানে ঘুষদাতা ব্যক্তি নিজের এলাকা ও ব্যবসা ছেড়ে পলাতক রয়েছে। তবুও ফোনের মাধ্যমে ডিএসবি তাকে ভয়ভীতি প্রদান করা অব্যাহত রেখেছে বলে জানা গেছে। ডিএসবি’র বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার এই রকম অনেক অভিযোগ রয়েছে।
তথ্য অনুন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম বালুভরা গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে মো: বাবু (সোহাগ) মঙ্গলবার (২৭মার্চ) সন্ধ্যায় সদরের হাসপাতাল গেটে তার নিজের দোকানে ব্যবসার কাজ করছিলেন। এসময় রাণীনগর উপজেলায় কর্মরত ওয়াচ কং (ডিএসবি) মো: কামাল হোসেন সেখানে গিয়ে সোহাগকে ডেকে বলে তুমি তো ইয়াবা ব্যাবসা করো আমি সব জানি। এই কথা বলে থানা পুলিশের ভয়ভীতি দেখিয়ে ও তাকে ভালো হওয়ার সুযোগ করে দিয়ে সোহাগের কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে ডিএসবি কামাল ১০হাজার টাকা দাবী করে। সোহাগ ডিএসবি কামালের বিভিন্ন হুমকি-ধামকির ভয়ে অবশেষে ৫হাজার টাকা দেন ডিএসবি কামালকে। ইয়াবার বিষয়ে চাপ প্রয়োগ করলে সোহাগ ডিএসবি কামালকে ২৬-২৭ পিস ইয়াবা ট্যবলেট এনে দেয়। পরে তা নিয়ে ডিএসবি কামাল ইয়াবা ব্যবসায়ী সোহাগ এর কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে ৫ হাজার টাকা ও ২৬-২৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। এঘটনা ওই এলাকায় মানুষের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। বিষয়টি গোপন ভাবে জানাজানি হয়ে গেলে ডিএসবি কামাল সোহাগকে বিষয়টি গোপন রাখার জন্য বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা অব্যাহত রেখেছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
এবিষয়ে মো: বাবু (সোহাগ) মুঠোফোনে জানান, আমি ইয়াবা ব্যবসা করি এই কথা বলে আমাকে বিভিন্ন রকমের হুমকি-ধামকি দিয়ে ডিএসবি কামাল আমার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা ও ২৬-২৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়েছে। আমি এই ডিএসবি’র ভয়ভীতির কারণে ব্যবসা বাণিজ্য ছেড়ে পালিয়ে রয়েছি।
এব্যাপারে রাণীনগর উপজেলায় কর্মরত ওয়াচ কং (ডিএসবি) মো: কামাল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, আমার কানেও এই বিষয়টি এসেছে। ভাই আপনি (সংবাদকর্মী) আসেন সাক্ষাতে আমি সোহাগের সঙ্গে কথা বলে প্রমান করে দিবো যে আমি এর সঙ্গে কোন রকম সম্পৃক্ততা নই। তার কাছে আরও বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বার বার এড়িয়ে যান।
এব্যাপারে রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএসএম সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ডিএসবি’র কাজ হচ্ছে উপজেলার গোপন সংবাদগুলো আমাকেসহ তার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে সরবরাহ করবে কিন্তু সে তা না করে ইদানিং উল্টো-পাল্টা কাজ শুরু করেছে। বিষয়টি আমিও জেনেছি কিন্তু ডিএসবি যেহেতু আমার আওতার মধ্যে পড়ে না তাই আমি বিষয়টি তার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারাই এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
নওগাঁ জেলা ডিএসবি (ডিস্ট্রিক সিকিউরিটি ব্রাঞ্চ) এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মোসলেম উদ্দিন বলেন, আমি ছুটিতে ছিলাম। তবে বিষয়টি সম্পর্কে আপনার (সংবাদকর্মী) মাধ্যমে জানতে পারলাম , তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খবর ৭১/ ই: