খবর৭১: হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে আলোচিত কিশোরী বিউটি আক্তার হত্যায় নতুন মোড় নিয়েছে। খুনের দায় স্বীকার করেছেন বিউটির বাবা সায়েদ আলী। চাঞ্চল্যকর এ হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার সাক্ষী ময়না মিয়ার প্ররোচনায় এমন হত্যাকাণ্ড ঘটাতে উদ্বুদ্ধ হন বিউটির বাবা।
নির্বাচনে স্ত্রী আছমা আক্তারের পরাজয়ে আসামি বাবুলের মায়ের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে ময়না মিয়া বিউটির বাবাকে প্ররোচনা দেন মেয়েকে বাবুল নষ্ট করেছে, বিয়ে দেয়া যাবে না, অন্য দুই মেয়ের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। এতে প্রলুব্ধ হয়ে মেয়েকে খুনে উদ্বুদ্ধ হন সায়েদ।
শনিবার সন্ধ্যায় নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা। এসপি জানান, বিউটির শরীরে মোট ৫টি আঘাত করা হয়েছে। সবগুলোই করেছে ময়না মিয়া। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিও উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিল দুজন। অপরজন ভাড়াটিয়া খুনি। তাকে ১০ হাজার টাকায় চুক্তি করে পরিশোধ করা হয় ২৫০০ টাকা। সে বিউটিকে ধরে রাখে।
শনিবার হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বিউটির বাবা নিজে এসব তথ্য দিয়েছেন বলে জানান এসপি।
এর আগে ময়না মিয়াও একই আদালতে হত্যার ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকালে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে ময়না মিয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এদিকে এ ঘটনায় একই আদালতে গ্রেফতারকৃত বাবুল মিয়া ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনার পরই সায়েদ আলী মেয়ে বিউটিকে লাখাই উপজেলার গুণিপুর গ্রামে নানার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। ১৬ মার্চ রাতে সেখান থেকে নিখোঁজ হয় বিউটি। পরদিন গুণিপুর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে হাওরে তার মরদেহ পাওয়া যায়। তার শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায় পুলিশ। এ ঘটনায় ১৮ মার্চ কিশোরীর বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে একই গ্রামের বাবুল মিয়া (৩২) ও তার মা ইউপি সদস্য কলম চান বিবিকে (৪৫) আসামি করে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে কলম চান বিবিকে শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ এবং বাবুলের বন্ধু ইসমাইল মিয়াকে অলিপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৩০ মার্চ সিলেট থেকে গ্রেফতার করা হয় বাবুল মিয়াকেও।
খবর৭১/এস: