ছাগলকে বাঁচাতে বাঘের সঙ্গে লড়াই তরুণীর

0
601

খবর৭১: পোষা ছাগলের জীবন বাঁচাতে লাঠি হাতে বাঘের সঙ্গে লড়াই করে জিতে ফিরেছেন রূপালি মেশরম নামে এক ভারতীয় তরুণী।

ঘটনাটি গত সপ্তাহের হলেও সম্প্রতি ওই তরুণীর সাক্ষাৎকার নিয়ে ঘটনাটি এখন খবরের শিরোনাম। খবর বিবিসির।

ভারতের পশ্চিম মহারাষ্ট্রের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ ঘরের তরুণী ২৩ বছর বয়সের রূপালি এক সাক্ষাৎকারে জানান তার সেই দুঃসাহসী অভিজ্ঞতার কথা।

তিনি বলেন, ঘটনার দিন পোষা ছাগলের চিৎকার শুনে ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন এবং দেখতে পান ছাগলটিকে বাঘে ধরেছে।

তখনই পোষা ছাগলটিকে বাঁচাতে তিনি মরিয়া হয়ে বাঘ তাড়াতে লাঠি নিয়েই তেড়ে যান। বাঘের গায়ে লাঠি দিয়ে বসিয়ে দেন কয়েকটি ঘা।

শেষমেশ শিকার ছেড়ে বাঘ রূপালিকেই আক্রমণ করে বসে। রূপালিও দমবার পাত্রী নন। লাঠি নিয়েই তাড়া করেন বাঘকে। পাল্টা এ আক্রমণে ভড়কে গিয়ে পালিয়ে যায় বাঘ।

আর রূপালিকে বাড়ির ভেতরে টেনে নিয়ে গিয়ে তাকে রক্ষা করেন তার মা। ঘরে ফিরেই নিজের রক্তাক্ত মুখের সেলফি তুলে রাখেন সাহসী এ তরুণী।

লড়াইয়ে রূপালির সঙ্গে সঙ্গে তার মা-ও সামান্য আহত হন। তাদের চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

ছাগলটিকে বাঁচানো যায়নি। কিন্তু লাঠি নিয়ে সাহসের সঙ্গে বাঘের সঙ্গে লড়ে খবরের শিরোনাম হয়েছেন রূপালি মেশরম।

তার ‘দৃষ্টান্তমূলক সাহসের’ প্রশংসা করেছেন হাসপাতালে তার চিকিৎসক।

তিনি বলেন, রূপালির সৌভাগ্য যে বাঘ তার দেহে কামড় বসাতে পারেনি। রূপালির মাথায়, কোমরে, হাতে, পায়ে আঘাত লেগেছে। তবে তা গুরুতর নয়। পুরোপুরিই সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিনি।

ঘটনার ১০ দিন পর রূপালির একটি ছবি তুলেছে বিবিসি। কিন্তু তার দেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই।

ঘটনার বর্ণনায় রূপালির মা জিজাভাই বলেন, আমি মনে করেছিলাম, আমার মেয়ে মরতে বসেছে। রক্তাক্ত শরীরে মেয়েকে বাঘের সঙ্গে লাঠি নিয়ে লড়াই করতে দেখে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন।

মা ও মেয়ে দুজনেই জানান, আক্রান্ত হওয়ার সময় তারা এক বনরক্ষীকে ডেকেছিলেন। কিন্তু ওই রক্ষী এসে পৌঁছানোর আগেই বাঘ চলে যায়।

বনের কাছেই রূপালি মেশরমদের গ্রামটিতে প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণীর হামলা হয়।

রূপালি বলেন, এ রকম হামলার শিকার হওয়ার পর শিগগিরই গ্রামে ফিরে যাওয়া নিয়ে আমি একটু চিন্তিত। তবে আমি ভয় পাচ্ছি না।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here