খবর৭১: বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের ৮ জন নেতাসহ ১০ জনের ১২৫ কোটি টাকার ‘সন্দেহজনক’ লেনদেনের অভিযোগ তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর কাছে তথ্য চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (৪ মার্চ) ৭টি ব্যাংকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা সামসুল আলম।
তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা তাদের বিভিন্ন সময়ের লেনদেনের স্টেইটমেন্ট চেয়েছি।’
দুদকের এই তদন্ত নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা চলছে। বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনের বছর ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানির লক্ষ্যে’ দুদককে দিয়ে এই কাজ করাচ্ছে সরকার। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সেই অভিযোগ নাকচ করে বলেছেন, দুদকের কাজে সরকারের কোনো ‘হস্তক্ষেপ নেই’।
গত সোমবার দুদকের উপ-পরিচালক ঋত্বিক সাহা স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে বিএনপি নেতাদের ‘সন্দেহজনক’ লেনদেন অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ‘৩০ দিনে তাদের একাউন্ট থেকে মানিলন্ডারিং ও সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে ১২৫ কোটি টাকা লেনদেনসহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ।’
এই নেতারা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, এম মোরশেদ খান, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও নির্বাহী সদস্য তাবিথ আউয়াল।
একই অভিযোগ আসায় মোরশেদ খানের ছেলে ব্যবসায়ী ফয়সাল মোরশেদ খান এবং ঢাকা ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমানের বিষয়েও অনুসন্ধান করবে দুদক। পাশাপাশি তাদের সবার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগও অনুসন্ধান করবে দুদক। অনুসন্ধানের জন্য দুদক উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলমের নেতৃত্বে দুই সদস্যের অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে। দলের অন্য সদস্য হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহ উদ্দিন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বিএনপির ওই নেতারা এইচএসবিসি ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, আরব বাংলাদেশ ব্যাংক ও ঢাকা ব্যাংকসহ বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বিদেশে টাকা পাচারসহ বিভিন্ন নাশকতায় অর্থ লেনদেন করে যাচ্ছেন বলে একটি অভিযোগ দুদকে আসে।’
তবে বিএনপির পক্ষ থেকে বিষয়টি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করা হচ্ছে। সরকার তাদের চাপে রাখতেই এমনটি করছে বলেও দাবি করছে বিএনপি।
কবর৭১/এস: