প্রতিনিধি চুয়াডাঙ্গা :
চুয়াডাঙ্গায় অস্ত্রোপচারের কারণে ২০ নারী-পুরুষের চোখ তুলে ফেলার ঘটনায় তদন্ত কমিটি তদন্ত শুরু করেছে। শনিবার ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেল্থ সেন্টারের চক্ষু বিভাগ ও রোগিদের বাড়িতে যায় এ কমিটি।
সিভিল সার্জন কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চক্ষু কনসালটেন্ট ডা. মো: শরিফুজ্জামান সুমন জানান, রোগিদের অপারেশনে ব্যবহৃত সকল ওষুধের নমুনা সংগ্রহ, অপারেশন থিয়েটার ও হাসপাতালের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করেন তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি। পরে রোগিদের বাড়ি গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
তদন্তে আমারা যা পেয়েছি বিষয়টি সিভিল সার্জনকে জানিয়েছি। তিনি আজ রোববার নমুনা গুলো সংশ্লিষ্ট দপ্তর ঢাকাতে প্রেরণ করবেন।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা দীর্ঘ সময় ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেল্থ সেন্টারে অবস্থান শেষে রোগিদের বাড়িতে যান। তদন্ত টিমের আগামী ২ এপিলের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার কথা রয়েছে। তদন্ত কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা. আবুল হোসেন ও সার্জারি কনসালটেন্ট ডা.তারিক হাছান শাহিন।
উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের কেদারগঞ্জ পাড়ায় ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেল্থ সেন্টারে গত ৫ মার্চ ২৪ রোগীর চোখে ছানির অপারেশন করা হয়। পরবর্তীতে তীব্র যন্ত্রণায় কাতর হয়ে পড়েন তারা। ২০ থেকে ২৪ মার্চের মধ্যে ২০ নারী-পুরুষের ইনফেকশনের চোখগুলো অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ঢাকার ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল থেকে তুলে ফেলতে হয়েছে। অরোব্লু নামক ভারতীয় একটি ওষুধের ব্যাকটেরিয়া থেকে এই ভয়ংকর ঘটনা ঘটেছে বলে হাসপাতাল কর্তপক্ষের ধারণা। গত বৃহস্পতিবার সিভিল সার্জন ডা. খাইরুল বাসার ঘটনা তদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। একই দিন হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ করেন।