উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলের আমাদা গ্রামে মাইকিং করে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া চার আসামিকে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলার কারণে থানার ওসি মো. শফিকুলকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ সুপার। দুপুরে পুলিশ সুপার মো. জসিমউদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ২৫ মার্চ পালিয়ে যাওয়া আসামি উপজেলার আমাদা গ্রামের রাঙ্গু খান (২৭), নাইস খান (২৫), গ্রাম পুলিশ দাউদ মল্লিকের ছেলে সোহেল মল্লিক (২৩) ও মন্টু মল্লিকের ছেলে সোহেল মল্লিককে (২০) অভিযান চালিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, উপজেলার আমাদা গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রায় আট মাস ধরে আবুল কাশেম খান সমর্থিত লোকজনদের সঙ্গে একই গ্রামের আলী আহম্মেদ খান সমর্থিত লোকজনদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও সংহিসতা চলে আসছে। রোববার ভোরে এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেফতারে লোহাগড়া থানা পুলিশ অভিযানে যায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ খবর পেয়ে কামালপ্রতাপ গ্রামে একটি মাছের ঘেরে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করে। আসামি গ্রেফতার করার পর হঠাৎ আমাদা গ্রামের পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের মাইক থেকে ডাকাত পড়েছে ঘোষণা করা হয়। এ ঘোষণায় আসামিপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় লোহাগড়া থানার এসআই গোবিন্দ আকর্ষণ, এএসআই আনিসুজ্জামান, কাজী বাবুল ও বাবুল হাসান আহত হয়। এই সুযোগে আটককৃত চার আসামি পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সোমবার বিকালে লোহাগড়া থানার এসআই গোবিন্দ আকর্ষণ বাদী হয়ে ২১ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।
খবর ৭১ /ই: