আবু বক্কর সিদ্দিক, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
সাজেশন দেয়ার নামে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর এটিএন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখানোর অভিযোগে ঐ বিদ্যালয়ের আইসিটির শিক্ষক সাজ্জাদুল করিম টিপুর বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার গাইবান্ধার শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এম. আলী আহম্মদ আলোচিত এই মামলার আসামীপক্ষ ও রাষ্ট্র পক্ষের শুনানী শেষে অভিযোগ গঠন করেন। এরআগে আসামীপক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষক টিপুর জামিনের আবেদন করলে আদালত তা না মঞ্জুর করেন। অভিযোগ (চার্জ) গঠনের যুক্তি তর্কে রাষ্ট্রপক্ষে শিশু নির্যাতন দমন আদালতের পিপি অ্যাড. শাহীন গুলশান নাহার মুনমুন ও আসামী পক্ষে ১০ জন আইনজীবি অংশ নেন।
শিশু নির্যাতন দমন আদালতের পিপি অ্যাড. শাহীন গুলশান নাহার মুনমুন বলেন, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারীর মাঝামাঝি সময়ে চন্ডিপুর এটিএন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আইসিটি শিক্ষক টিপু সাজেশন দেয়ার কথা বলে ছুটির পর নবম শ্রেণির ঐ ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে থাকতে বলে। পরে তাকে বিদ্যালয়ের ওয়াশরুমে জোরপুর্বক ধর্ষণ করে । এরপর ভিডিও ধারণ করে। ঐ ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে পরবর্তীতে তাকে কয়েক দফা ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ঐ শিক্ষার্থী অসুস্থ্য হয়ে পড়লে বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানায়। পরে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়। অভিযোগের প্রতিকার না মেলায় এই ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসি ও বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা বিক্ষোভ করে। ২০১৭ সালের ৩ ডিসেম্বর ঐ ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে শিক্ষক সাজ্জাদুল করিম টিপুর বিরুদ্ধে সুন্দরগঞ্জ থানায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধনী) আইন/২০০৩ এর ৯(১) ধারায় মামলা করেন। ঐ দিন পুলিশ শিক্ষক টিপুকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক জানান, এই ঘটনায় ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাজ্জাদুল করিম টিপুকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত শেষে ২৯ দিনের মাথায় সুন্দরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মুহাঃ আতিয়ার রহমান গত ৩১ ডিসেম্বর আদালতে অভিযাগপত্র (চার্জসীট) দাখিল করেন। মঙ্গলবার অভিযোগ গঠনের দিন ধার্জ ছিল। আদালতের কাঠগড়ায় আসামীর উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন করা হয়।
খবর ৭১/ ই: