চৌগাছা (যশোর) সংবাদদাতা : যশোরের চৌগাছায় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর ঘটনায় ব্যবসায়ী ও পুলিশের মধ্যে সমাঝোতা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে দায়ি তিন পুলিশ সদস্যকে যশোর পুলিশ নাইলে ক্লোজড করা হয়েছে। সমঝোতা হওয়ায় বুধবার সকল ব্যবসায়ী তাদের অবরোধ তুলে নেয় এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে ব্যবসা করেন।
সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে চৌগাছার এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টাকালে থানা পুলিশের এএসআই কামরুজ্জামানকে আটক করে জনতা। এ ঘটনার পর ব্যবসায়ীরা সকল দোকান বন্ধ রেখে দিনভর বিক্ষোভ করেন। সন্ধ্যায় যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল রানা চৌগাছা থানায় উপস্থিত হয়ে ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে বৈঠকে বসেন। সেখানে ব্যবসায়ীদের বক্তব্য শুনে তিনি দায়ি তিন পুলিশ সদস্য এএসআই কামরুজ্জামান, এএসআই আকবর আলী ও কনেষ্টেবল নাজমুল ইসলামকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করার সিদ্ধান্ত নেয়। সে মোতাবেক ব্যবসায়ীরা তাদের অবরোধ তুলে স্বাভাবিক ব্যবসা করার কথাও জানান। মঙ্গলবার রাতেই তাদেরকে পুলিশ লইনে ক্লোজড করা হয় বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ শামীম উদ্দিন জানান, পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায় নেতাদের সাথে বৈঠকে সৃষ্ট ঘটনার একটি সমাধান হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্তপূর্বক যে দায়ি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইবাদত হোসেন বলেন, পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠকে এই ঘটনার একটি সমাধান হয়েছে। আমরা বুধবার থেকে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে ব্যবসা করবো। দায়ি পুলিশ সদস্যদের লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। পরবর্তীতে বিভাগীয় তদন্তের পর যে অপরাধী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাসে আমরা অবরোধ তুলে নিয়েছি। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার দুপুরে বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিন্দ্রনাথ সেন ওরফে রবির ছেলে রাজনসেন ওরফে বাপ্পিকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টাকালে থানার এএসআই কামরুজ্জামানকে ব্যবসায়ীরা অবরুদ্ধ করেন। পরবর্তীতে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, পৌর মেয়র ও থানা অফিসার ইনচার্জের মধ্যে এক সমঝোতা হওয়ায় তাকে সেখান থেকে মুক্ত করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
খবর ৭১/ ই: