খবর৭১: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যার রাতেও সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে এ ঘটনা ঘটে। গণহত্যা দিবস উপলক্ষে হলে মোমবাতি প্রজ্বালনের পর এই সংঘর্ষে জড়ায় তারা। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা রড, লাঠিসোটাসহ দফায় দফায় মহড়া দেয়।
হল সূত্র জানায়, হলে মোমবাতি প্রজ্বালন শেষে গেমস রুমে ক্যারম খেলতে গেলে সভাপতি গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মী ইশতিয়াক রিফাতের সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের মনির হোসাইনের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় রড, লাঠিসহ বিভিন্ন দেশি অস্ত্র নিয়ে কয়েক দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে হলের আবাসিক শিক্ষক ও সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। হল ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, জুনিয়রদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটেছে। পরে আমরা গিয়ে মীমাংসা করে দিয়েছি। সাধারণ সম্পাদক আসিফ তালুকদার বলেন, তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে জুনিয়ররা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে আমরা গিয়ে বিষয়টির সমাধান করেছি।
লাঞ্ছিত ছাত্রলীগ নেতা : সালাম না দেয়ার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের এক নেতাকে লাঞ্ছিত করেছে নিজ দলীয় অপর এক নেতা। শনিবার রাতে স্যার এ এফ রহমান হলে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, গোপনাঙ্গে লাথি মারায় ওই নেতার প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সহপাঠীরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যান। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।
খবর৭১/জি: