খবর৭১: গাড়িচালকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ১৫ বছরের কিশোরী পায়েল ঘোষের। সেই সম্পর্ক মানতে রাজি ছিল না তার পরিবার।
মঙ্গলবার প্রেমিকের সঙ্গে নিখোঁজ হয়ে যায় পায়েল। এর পর খোঁজ শুরু হলে রাতে থানায় আত্মসমর্পণ করে সে।
এর পর রাতেই পুলিশ তাকে বাড়ি পৌঁছে দেয়। কিন্তু পর দিন রাতে পূজার ঘরে ঢুকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে পায়েল।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজারহাটের বিষ্ণুপুরে এমন ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের ধারণা, প্রেমে বাধা পেয়েই ওই ছাত্রী আত্মঘাতী হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার দুপুর থেকে পায়েলকে পাওয়া যাচ্ছিল না। এর পর রাজারহাট থানায় তার পরিবার একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে।
তদন্তকারীরা জানান, ওই দিন রাতেই পায়েল আত্মসমর্পণ করে। পরে তাকে বিষ্ণুপুরে তার বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়।
ওই ছাত্রীর সঙ্গে স্থানীয় এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পায়েলের পরিবার ওই সম্পর্কের বিরোধী ছিল।
পুলিশ জানায়, বুধবার সকাল থেকে পায়েল বাড়িতেই ছিল। দুপুরে দোতলায় পূজার ঘরে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয় পায়েল। কিছুক্ষণ পর পায়েলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
পায়েলের বোন অলিভিয়া বলেন, আমরা কিছু একটা পড়ে যাওয়ার শব্দ পেয়েছিলাম। কিন্তু এত বড় ঘটনা ঘটবে ধারণা করতে পারিনি। অনেকক্ষণ পর বোনের খোঁজ করতে গিয়ে দেখতে পাই।
অলিভিয়া জানান, এক গাড়িচালকের সঙ্গে পায়েলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সেই সম্পর্ক নিয়ে তাদের আপত্তি ছিল।
অলিভিয়া বলেন, কোনো দিক থেকেই ওই যুবক আমার বোনের যোগ্য নয়। তার ওপর আমার বোন নাবালিকা। ছেলেটি আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে আমার বোনকে বিয়ের জন্য চাপ দিত।
গত বছরেও পায়েল একবার ওই যুবকের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়েছিল বলে জানা গেছে।
পরিবার সূত্রে খবর, পায়েল ডায়েরি লিখত। মঙ্গলবার নিখোঁজ হওয়ার সময় ডায়েরিটি নিয়েই সে চলে যায়। সেটি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানান অলিভিয়া।
খবর৭১/এস: