খবর৭১: টিম সাউদি অসাধারণ এক ইয়র্কারে মঈন আলির অফ স্টাম্প উড়িয়ে দিলে ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ২৩! তখনই টেস্টে সর্বনিম্ন রানের লজ্জার বিশ্বরেকর্ডের শঙ্কাটা জেঁকে বসেছিল ইংলিশদের কাঁধে। তবে শেষ পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি।
১৯৫৫ সালে অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ২৬ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। যা এখনও টেস্টের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড। ৫ যুগ পর সেই একই মাঠে লজ্জাটা ইংলিশদের ফিরিয়ে দিচ্ছিলেন কিউইরা। তবে হইহই করেও হয়নি।
লজ্জার রেকর্ড না হলেও ২৭ রানে ৯ উইকেট খুইয়ে নিজেদের সর্বনিম্ন রানের লজ্জাটা চোখ রাঙাচ্ছিল ইংল্যান্ডকে। তাও সাফল্যের মুখ দেখেনি। ১৮৮৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিডনিতে ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বনিম্ন ৪৫ রান করেন ইংলিশরা।
৯ নম্বরে নেমে ২৫ বলে ৩৩রানের হার না মানা ইনিংস খেলে সেই লজ্জাও এড়িয়েছে জো রুটের দল। অকল্যান্ডে দিবারাত্রির টেস্টে ৫৮ রানে অলআউট হয়েছে ইংল্যান্ড।
ওভারটন ছাড়া দুই অঙ্কেরঘর স্পর্শ করেছেন মাত্র একজন। মার্ক স্টোনম্যানের ব্যাট থেকে এসেছে ১১ রান। ডাক মেরেছেন ৫ জন। বাকিদের ইনিংসগুলো মোবাইল ফোনের ডিজিট।
ইংল্যান্ডকে একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট। উইকেটেরে দুদিকে সুইং, ইয়র্কার আর গতির অনুপম প্রদর্শনীতে ৩২ রানে ৬ উইকেট নিয়ে রুটদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন তিনি। তাকে সুনিপুণ সঙ্গ দিয়েছেন সাউদি। ২৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে তাদের দংশন করেছেন তিনি।
এদিন মাত্র দুজন বোলার খাটিয়েছে নিউজিল্যান্ড। বোল্ট ও সাউদি ছাড়া আর কারও হাতে বল তুলে দেননি টস জেতা অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। আস্থার প্রতিদানও অবলীলায় দিয়েছেন এ দুই বোলার। দেড় ঘণ্টায় ইংলিশদের গুটিয়ে দিয়েছেন হালের অন্যতম দুই তারকা পেসার।
খবর৭১/জি: