খবর৭১: স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশ।
এ উপলক্ষে ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ স্লোগানে বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণের কাণ্ডারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দিচ্ছে জাতি।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজন করা হয়েছে উৎসবের প্রথম পর্বের।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনাকে জানানো হচ্ছে। এরই মধ্যে তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে উন্নয়নশীল দেশে পৌঁছার সনদ।
জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (ইউএনসিডিপি) এ সনদ প্রদান করেছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন ও ভঙ্গুর অর্থনীতি নিয়ে যাত্রা শুরুর পর উন্নয়নের এ স্তরে উত্তরণ এবং জাতিসংঘের সুপারিশপত্র গ্রহণ পর্যন্ত একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করার কথা রয়েছে।
ডকুমেন্টারির মূল বক্তব্যে বলা হয়েছে, একটি সুখীসমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। তার অবর্তমানে যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে সেই সোনার বাংলা গড়তে বিরামহীনভাবে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বাধীন সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়ন ছুঁয়ে গেছে শহর থেকে গ্রাম। শুধু অবকাঠামোই নয়, উন্নয়নের সেই ছোঁয়া লেগেছে আর্থ-সামাজিক সব খাতেই। আর সব কিছুই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন দর্শনের ফলে।
সকালের এ অনুষ্ঠানে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করায় একটি স্মারক ডাকটিকিটও উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে বিকালয় ৩টায় ঢাকায় বের হবে বর্ণাঢ্য র্যালি। ঢাকা শহরকে ১৩টি জোনে ভাগ করে নির্দিষ্ট পয়েন্ট থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ নিজ নিজ উদ্যোগে র্যালি রাজধানী প্রদক্ষিণ করবে।
সান্ধ্যকালীন কর্মসূচিতে রাখা হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হওয়া এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এতে সমবেতরা একসঙ্গে দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করবেন। অনুষ্ঠানে ৫-৭ মিনিটের একটি লেজার শো প্রদর্শন এবং ১০-১২ মিনিট আতশবাজি পোড়ানো হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে দুই ঘণ্টা। অংশ নেবেন দেশের বরেণ্য শিল্পীরা।
উৎসব উপলক্ষে রাজধানী সেজেছে নতুন সাজে। ফেস্টুন, ব্যানার, পোস্টার, এলইডি লাইটিং, রঙিন পতাকায় শহর সজ্জিত করা হয়েছে। ফেসবুক, টুইটার, ব্লগসহ নানা মাধ্যমে এ অর্জনের ব্যাপক প্রচার শুরু হয়েছে।
এলডিসি উত্তরণ সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপনে সম্পৃক্ত হয়েছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
শুধু রাজধানী নয়, উৎসব পালিত হবে জেলা, উপজেলা পর্যায়েও। স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে তৃণমূল পর্যায়েও কর্মসূচি পালনের সব পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এ উদ্দেশ্যে জেলাপর্যায়ে সেমিনার, চিত্রপ্রদর্শনী, ছবি আঁকা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উন্নয়ন প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়েছে।
খবর৭১/জি: