খবর৭১: জাতিসংঘ কর্তৃক উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য এক যুগান্তকারী মাইলফলক বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিকে সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বুধবার চট্টগ্রামে নেভাল একাডেমিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ডকইয়ার্ডের ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছি। জাতিসংঘের এ স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য এক যুগান্তকারী মাইলফলক। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে আমরা আরও একধাপ এগিয়ে গেলাম।
তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন- সাড়ে ৭ কোটি জনগণকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। তার সেদিনের সেই ঘোষণা আজ সত্য প্রমাণিত হয়েছে। আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারেনি।
‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাবেই। আমরা বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলব। এ জন্য উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, গত ৯ বছরে দেশে যত উন্নয়ন হয়েছে, তার ৯০ শতাংশ আমরা নিজেদের টাকায় করেছি। দারিদ্র্যের হার ২২ শতাংশে নেমে এসেছে। মাথাপিছু আয় বেড়ে এক হাজার ৬১০ ডলার হয়েছে। বর্তমানে জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ।
ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, থ্রিজি থেকে ফোরজি যুগে প্রবেশ করেছি আমরা। প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার করেছি। ৯০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। মানুষের গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে ৭২ বছর। মেট্রোরেল, পায়রাবন্দর, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল এবং এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করছি। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছি।
নৌবাহিনীকে তাদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পরিচিতি এখন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অনেক বেড়েছে। নৌবাহিনীর জাহাজ বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক মহড়ায় অংশ নিচ্ছে এবং নিজেরাও সফলভাবে মহড়ার আয়োজন করছে।
মিয়ানমারের বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য নোয়াখালীর ভাসানচরে আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে নৌবাহিনীর ভূমিকারও প্রশংসা করেন তিনি।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে নেভাল একাডেমিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ প্রতিকৃতি ভাস্কর্য এবং বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেন।
খবর৭১/এস: