কপিলমুনির স্কুল শিক্ষকের হারপিক পানে রহস্যজনক আত্নহত্যা

0
490

শেখ দীন মাহমুদ,পাইকগাছা(খুলনা):
পাইকগাছার কপিলমুনি মেহেরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ অজিয়ার রহমান হারপিক পান করে রহস্যজনক কারণে আত্নহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে খুলনার নিউ মার্কেট এলাকার তার এক আত্নীয়র বাসায়। তিনি ভিলেজ পাইকগাছার ছমির গাজীর মেঝ ছেলে। গত বুধবার স্কুল থেকে দু’দিনের ছুটি নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে স্বস্ত্রীক নিজের চিকিৎসা করাতে খুলনা যান। এরপর সেখানে জনৈক ডাক্তার দেখানোর পর কিছু পরীক্ষা দিলে তার রিপোর্ট পেতে বিলম্ব হওয়ায় নিউ মার্কেট এলাকায় তার এক শ্যালিকার বাসায় যান। সেখানে বাথরুমে ঢুকে বাথরুমের ক্লিনার হারপিক পান করেন। এক পর্যায়ে বাথরুম থেকে ফিরতে বিলম্ব দেখে ঐ পরিবারের লোকজন বাথরুমের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়। শুক্রবার ময়না তদন্ত ছাড়াই যুম্মাবাদ তার নামাজের জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এব্যাপারে কপিলমুনি মেহেরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিমা আক্তার সম্পা জানান,সদালাপি ও কর্তব্যপরায়ন শিক্ষক অজিয়ার রহমান ৫ ওয়াক্ত নামায পড়তেন। সর্বশেষ আত্নীয়র বাসায় হারপিক পানে আতœহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও ঠিক কি কারণে আত্নহত্যা করেছেন তাৎক্ষণিকভাবে তা জানাতে পারেননি। সূত্র জানায়,তার পায়ের গোড়ালিতে বেশ বড় একটা কাটা দাগ ছিল। ধারণা করা হচ্ছে,অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় বাথরুমে পড়ে গিয়ে কমোটের আঘাতে পায়ে ক্ষত হতে পারে।
বৃহস্পতিবার রাতেই খুলনা থেকে অজিয়ারের লাশ নিয়ে প্রথমে উপজেলার রাম নগরে তার শ্বশুরালয় ও পরে ভিলেজ পাইকগাছায় শুক্রবার জুম্মার নামাযের পর জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
সূত্র জানায়,দাম্পত্য জীবনে তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। গর্ভবস্থায় তার স্ত্রীর অনেক গুলো সন্তান মারা যায়। তবে সর্বশেষ বৃহস্পতিবার নিজ চিকিৎসার জন্য খুলনায় গিয়ে সেখানে চিকিৎসা শেষে রিপোর্ট নেবার আগেই আত্নহত্যার বিষয়টিকে এলাকাবাসী রীতিমত সন্দেহের চোখে দেখছেন। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহসহ বিভিন্ন কারণে তিনি আতœহত্যা করে থাকতে পারেন।
খবর ৭১/ এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here