খবর ৭১:নেপালে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহতদের মধ্যে যেসব বাংলাদেশিদের শনাক্ত করা যাবে তাদের লাশ আগামী মঙ্গলবার দেশে আনা হবে।
শুক্রবার নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ দূতাবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। আগামী রোববার ঢাকার সিআইডির ডিএনএ ল্যাবে গিয়ে নিহতদের আত্মীয়স্বজনদের যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে।
কাঠমান্ডুর বাংলাদেশ দূতাবাসের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আজকের (শুক্রবার) মধ্যেই নিহতের ময়নাতদন্ত শেষ হবে। শনিবার থেকে শনাক্তকরণের কাজ শুরু হবে। যেসব লাশ খালি চোখে দেখে শনাক্ত করা সম্ভব হবে সেগুলো আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় দেশে পাঠানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস, ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সোহেল আহমেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিআইডির ডিএনএ ল্যাবের কর্মকর্তা এএসপি আব্দুস সালাম।
সংবাদ সম্মেলনে সোহেল আহমেদ বলেন, যেসব লাশ দেখে শনাক্ত করা সম্ভব হবে না সেগুলোর ডিএনএ প্রোফাইলিং করা হবে। প্রোফাইলিংয়ের জন্য ওইসব লাশের দাঁত, চুল, নখ বা পোশাকের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস বলেন, নিহতদের আত্মীয়স্বজনরা চান সবার লাশ একসঙ্গে পাঠানো হোক। সে জন্য সবার লাশ একসঙ্গে পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার বিমানটি সোমবার স্থানীয় সময় বেলা ২টা ২০ মিনিটে অবতরণের কথা ছিল। নামার আগেই এটি বিধ্বস্ত হয়ে বিমানবন্দরের পাশের একটি খেলার মাঠে পড়ে যায়। বিমানটিতে চারজন ক্রু ও ৬৭ যাত্রী ছিল। উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ২৬ বাংলাদেশিসহ ৫১ জন নিহত হন। আহত হয়ে হাসপাতালে রয়েছেন ১০ বাংলাদেশিসহ ২১ জন।
এর মধ্যে কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল-কেএমসিতে চিকিৎসাধীন শাহরিন আহমেদ, আলমুন নাহার অ্যানি, কামরুন্নেসা স্বর্ণা ও মেহেদী হাসানকে বাংলাদেশে আনার ব্যাপারে অনাপত্তি দেয়ার পর তাদের ঢাকায় আনা হয়েছে।
খবর ৭১/ ই: