কুড়িগ্রামে গণধর্ষনের স্বীকার কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী

0
386

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামে গণধর্ষনের স্বীকার হয়েছে কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রী। বুধবার রাত ২টায় ধর্ষিতাকে কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশ উদ্ধার করে। ঘটনার সাথে জরিত ৩ যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে গণধর্ষনের স্বীকার মুক্তিযোদ্ধার কন্যা।
ধর্ষিতা (লাভলী বেগম) জানান,সে কুড়িগ্রাম কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজে এইচএসসি মানবিক বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্রী। বুধবার রাতে তার প্রেমিক সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের বাঞ্ছারাম গ্রামের অটো চালক রহমান আলীর পুত্র কামরুল ইসলাম (২২) বিয়ে করতে ঢাকা পালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়। কথা মতো মেয়েটি রাত সোয়ার ৮টার দিকে কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের দাশেরহাট কুড়িগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে একটি পেট্রোল পাম্পে অপেক্ষা করে। এসময় ঐ ইউনিয়নের হরিশ্বর কালোয়া গ্রামের মাসুদ রানা(২৪), হৃদয় হাসান সুমন(১৮), তারপদ (২০) মোটর সাইকেলে জোর পূর্বক পাশের ফাঁকা মাঠে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। স্বপন,পলাশ,মুকুল,লাইজুসহ অন্তত আরো ৮/৯জন বখাটে যুবক তাকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়রা পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মেয়েটি কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি তদন্ত রওশন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এব্যাপারে ৩জনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা হয়েছে, মামলা নং-২২। রাতেই অভিযুক্ত মাসুদ রানা, হৃদয় হাসান সুমন, তারপদকে প্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জানা গেছে ধর্ষিতা মৃত: মুক্তিযোদ্ধা মনির উদ্দিনের কন্যা। তার বাড়ি মোগলবাসা ইউনিয়নের নিধিরাম গ্রামে। #

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here