জয়পুরহাটে টার্কির খামারে দূর হচ্ছে বেকারত্ব

0
283

মোঃ অালী হাসান: জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাট জেলার বিভিন্ন উপজেলায় তুর্কিস্থানের টার্কি (মুরগি) প্রতিপালন ইদানীং বেশ জনপ্রিয় হয়ে
উঠছে। জেলার বিভিন্ন এলাকার বেকার যুবকরা টার্কি প্রতিপালনে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠছে। ইতোমধ্যে জেলার কয়েকটি উপজেলায় খামারের মাধ্যমে এর প্রতিপালন শুরু হয়েছে। জেলার প্রাণী সম্পদ বিভাগ ও কিছু বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে এবং সরাসরি তাদের তত্তাবধানে এই শিল্পের সম্প্রসারণের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। তুর্কিস্থানে গৃহপালিত পাখি হিসাবে পরিচিতি টার্কি বিভিন্ন সফল উদ্যোগী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশে নিয়ে এসে তা লিটার ও মাছা পদ্ধতিতে সম্প্রসারণ কাজ হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় জয়পুরহাটে
ক্ষেতলাল, আক্কেলপুর, পাঁচবিবি, কালাই ও সদরে বিভিন্ন জায়গায় এর প্রতিপালন ছড়িয়ে পড়ছে। সেই অব্যাহত ধারাবাহিকতায় জয়পুরহাটে স্বেচ্ছাসেবী
একটি সংঘটন জেলার পাঁচবিবি উপজেলার ধরইল গ্রামের ১০ জন খামারিকে বিনামূল্যে ৫০০ গ্রাম ওজনের ২০-২৫টি করে টার্কি সরবরাহ করে। এটি প্রায় ৫-৬ মাস প্রতিপালন করার পর ওই টার্কি ওজন হয় প্রায় ৭ কেজি। এটি যতœসহকারে নিয়ম-কানুন মেনে প্রতিপালন করলে ১ বছর পর একটি টার্কির ওজন হয় প্রায় ১৩-১৫ কেজি।
সাধারণরত এর উচ্চতা হয় ৩-৪ ফিট। বছরে এরা ডিম দেয় ১০০-১২০টির মত। টার্কি বেশ দৃষ্টিনন্দন আর মোরগজাতের
টার্কির ময়ুরের মতো পেখম বেশ দৃষ্টিনন্দন যা সকলের নজর কারে। দেশি, বয়লার ও লেয়ার মুরগির তুলনায় এর রোগবালাই তেমন নেই। যা আছে অনেকাংশে কম এবং
এটি প্রতিপালনে তুলনামূলক অনেক খরচ কম। টার্কি মুরগির খাবার খরচও কম। এদের প্রিয় খাবার কলমি শাক, পালং শাক, পাতা কপিসহ ওই জাতীয় লতাপাতা ও শাকসবজি এছাড়া এদের প্রিয় খাবার সকল সবুজ লতাপাতা ও নিপিয়ার ঘাস ওই খাবারগুলো সারাদিনে তাদের সামান্য পরিমাণ দিতে হয় ওই খাবারের পাশাপাশি তাদের পোল্ট্রি ফিড দিতে হয় অল্প। পোল্ট্রি ফিড না দিলেও তাদের খাবারের কোন
অসুবিধা বা ক্ষতি হয় না। জেলার পাঁচবিবি উপজেলার ধরইল গ্রামের টার্কি খামারি সিরাজুল ইসলাম, আইয়ুব আলী, এনামুল হক, মনছের আলম বলেন সাধারণত দেশিও মুরগির তুলনায় এদের খুব সহজ এবং দেশিও মুরগির চেয়ে টার্কি কম সময়ে দ্রæত বেড়ে উঠে যার ফলে অল্প সময়ে
কম খরচে ডিম ও মাংস উৎপাদন করে লাভবান হওয়া যায়। এদের প্রতিপালনের ক্ষেত্রে তেমন কোন রোগবালাই নেই। একই কথা বলেন ক্ষেতলালের ওবাইদুল ইসলাম,
কালাইয়ের হারুন নূর রশিদ, আক্কেলপুরের শামিমুর রহমান, সদরের বাপ্পী হোসেন। তারা আরোও জানান টার্কি প্রতিপালনে বেশি লাভজনক হওয়ায় তাদের পাশাপাশি অনেকেই আগ্রহী হয়ে খামার করতে শুরু
করেছে। টার্কি চাষের ব্যাপকতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। জেলার প্রিন্সিপাল সায়েন্সটিপি অফিসার ডাক্তার এ কে এম আব্দুর রহমান বলেন টার্কি চাষ অত্যন্ত সহজ লাভজনক ও প্রোটিন সমৃদ্ধ। ইতোমধ্যে ৫০০-৬০০ টাকা কেজি দরে কেনাবেচা হচ্ছে এর চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। এভাবে প্রতিপালন বা চাষ হলে দাম নাগালের মধ্যে পাওয়া যাবে। দেশের বাহিরে থেকে আসা টার্কি বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার ন্যায় জয়পুরহাটেও এর প্রতিপালন শুরু হয়েছে। অল্প সময়ে এটি
প্রতিপালন দ্রæত বিস্তার লাভ করছে। টার্কি সম্প্রসারণ ও প্রতিপালনে সার্বিক সহযোগিতা পরামর্শ দিয়ে আসছে জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ।
খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here