খবর৭১: প্রমত্তা পদ্মার বুকে স্বপ্নের সেতু আরও দৃশ্যমান হয়েছে। বহুল কাঙ্ক্ষিত সেতুতে বসানো হয়েছে তৃতীয় স্প্যান।
রবিবার সকাল আটটা থেকে স্প্যানটি বসানোর কাজ শুরু হয়। ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যে বসানো হয় স্প্যানটি।
এটি বসানোর দ্বারা পদ্মা সেতুর ৪৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে। এর আগে দুটি স্প্যানে ৩০০ মিটার দৃশ্যমান হয়।
গত বছরের অক্টোবরে প্রথম এবং গত ২৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্প্যান বসানো হয়। এভাবে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পদ্মা সেতুতে ৪২টি খুঁটির ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান।
রবিবার সকালে জাজিরা পয়েন্টের কাছে ৩৯ ও ৪০ নম্বর খুঁটির ওপর তৃতীয় স্প্যানটি বসানো হয় বলে জানিয়েছেন সেতু প্রকল্পের প্রকৌশলী হূমায়ুন কবীর।
এর আগে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ধারণক্ষমতার ভাসমান ক্রেন টিয়ান ইয়েহাও মাওয়ার কুমার ভোগের বিশেষায়িত জেটি থেকে ওয়ার্কশপের প্রায় তিন হাজার ২০০ টন ওজনের ভাসমান ক্রেনবাহী জাহাজটি এই স্প্যানটি পাজা করে নিয়ে আসে জাজিরায়।
এদিকে স্বপ্নের সেতু পদ্মার বুকে মাথা গজিয়ে উঠতে দেখে আনন্দের সীমা নেই দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের। অনেকে স্প্যান বসানো দেখতে ভিড় করেছেন জাজিরা পয়েন্টে।
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি পদ্মা সেতু। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই সেতু বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়। তবে দুর্নীতি ষড়যন্ত্রের ধোঁয়া তুলে এই প্রকল্পে অর্থায়ন না করার ঘোষণা দেয় বিশ্বব্যাংকসহ কয়েকটি দাতা সংস্থা। পরে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১২ সালে শুরু হয় সেতুর কাজ। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটিতে কয়েক দফা ব্যয় বেড়েছে। এখন প্রকল্প ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। প্রকল্পের অর্ধেকের বেশি কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। তবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এই সেতুর কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না।
এই সেতুটি চালু হলে ভাগ্যের দুয়ার খুলে যাবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের। জাতীয় অর্থনীতিতে এই সেতুটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
খবর৭১/জি: