খবর ৭১ঃ সিনেট নির্বাচনে পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) দলের কমপক্ষে ১৭ জন প্রাদেশিক পরিষদের এমপি তাদের ভোট বিক্রি করেছেন। এ ঘটনা ঘটেছে খাইবার পখতুনখওয়া প্রদেশে। এর মধ্য দিয়ে সেখানে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) দু’জন সিনেটরকে নির্বাচিত হতে সাহায্য করেছেন তারা। ওই প্রদেশে পিপিপির আগে থেকেই রয়েছে সাতজন প্রাদেশিক পরিষদের এমপি। এ নিয়ে ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও পিটিআই নেতা পারভেজ খাত্তাক তদন্তের নিদেয়শ দেন। তাতে দেখা যায়, সাবেক ক্রিকেটার ও পিটিআই দলের চেয়ারম্যান ইমরান খানের দলের কমপক্ষে ১৭ জন এমপি তারেদ ভোট বিক্রি করে দিয়েছেন পিপিপির প্রার্থীদের কাছে। তাদের সংখ্যা বিশও হতে পারে। ডন নিউজ টিভিকে রোববার এ কথা জানানো হয়েছে পেশোয়ার ও বানি গালায় মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সূত্র। প্রাদেশিক পরিষদের যেসব সদস্য ভোট বিক্রি করেছেন তার মধ্যে রয়েছেন প্রথম সারির কয়েকজন নেতাও। এ নিয়ে যে তদন্ত হয়েছে তা পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানকে অবহিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী খাত্তাক। এ সময় ওই প্রদেশে ভোট কেনাবেচা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইমরান খান। তিনি মুখ্যমন্ত্রী খাত্তাককে এ বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে বলেছেন। ওদিকে পিটিআই এবং পিপিপি দু’দলই একে অন্যের বিরুদ্ধে পাঞ্জাব ও খাইবার পখতুনখওয়া প্রদেশে সিনেট নির্বাচনে ভোট কেনাবেচার অভিযোগ এনেছে। খাইবার পখতুনখওয়া প্রদেশে সিনেট নির্বাচনে পিপিপির দু’জন প্রার্থীর বিজয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইমরান খান। অন্যদিকে পাঞ্জাবে পিপিআইয়ের একমাত্র বিজয়ী প্রার্থী চৌধুরী সারওয়ারের বিজয় নিয়ে একই প্রশ্ন তুলেছে পিপিপি। ওদিকে পিপিপির নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র বলেছেন, খাইবার পখতুনখওয়া প্রদেশে পিপিপি শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন ওই প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী খাত্তাক। তিনি ওই প্রদেশে সংরক্ষিত আসনে নারীদের জন্য একটি আসনের জন্য সমঝোতা করেছিলৈন। তবে পিপিপির এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে পিটিআই। পিটিআইয়ের তথ্য সম্পাদক ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন, এটা ষড়যন্ত্রমূলক ও অবিশ্বাস্য অভিযোগ। অন্যদিকে ইমরান খানের অভিযোগের জবাবে পিপিপির নেতা ফরহাতুল্লাহ বাবর পিটিআইকে অভিযুক্ত করেছেন। বলেছেন, পিটিআইয়ের চৌধুরী সারওয়ার পাঞ্জাবের আসনে জিতেছেন অনৈতিক উপায়ে।
খবর ৭১/ইঃ