খবর ৭১ঃ ইতালিতে আজ জাতীয় নির্বাচন। কিন্তু বন্ধ করে দেয়া হয়েছে একজন পর্নো তারকার ইন্সটাগ্রাম একাউন্ট। তিনি হলেন পাওলা সাউলিনো (২৮)। কিন্তু কেন? নির্বাচনের সঙ্গে একজন পর্নো তারকার কি সম্পর্ক? কি কারণে তার সামাজিক যোগাযোগের ঠিকানা বাতিল করে দেয়া হয়েছে? এমন অনেক প্রশ্ন সামনে এনেছে পশ্চিমা মিডিয়া। এর উত্তরও খোঁজার চেষ্টা করেছে তারা। এর আগে সাংবিধানিক সংস্কার প্রশ্নে গণভোট আহ্বান করেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজি। তখন ওই পর্নো তারকা ভোটকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন যারা গণভোটে ‘না’ ভোট দেবেন তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে তিনি ‘ওরাল সেক্সে’ মিলিত হবেন। সেই পাওলা সাউলিনো এবারও জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারেন এ ভয়ে সরকার তার ইন্সটাগ্রাম একাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে। তার রয়েছে ৪ লাখ ৩০ হাজার অনুসারী। তিনি যাতে এসব অনুসারীর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখতে না পারেন, তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে না পারেন সে জন্য তার ওই একাউন্ট বন্ধ করে তাকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছর ২৯ শে নভেম্বর ইতালিতে যে গণভোট হয় সেই তাতে ‘না’ ভোট বিজয়ী হয়েছিল। এর পক্ষে পড়েছিল শতকরা ৫৯ ভাগ ভোট। আর এই না ভোটকেই উৎসাহিত করেছিলেন পাওলা সাউলিন। আর এ জন্য প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাকে কয়েক শত পুরুষের মনোরঞ্জন করতে হয়। এমন পুরুষের সংখ্যা কমপক্ষে ৭০০। এখন তিনি একটি পত্রিকাকে বলেছেন, তাকে ভয় পান রাজনীতিকরা। কারণ, তিনিই নির্বাচনের ফল পাল্টে দিতে পারেন। তার ভাষায় ‘রাজনীতিকরা ভয়ে শঙ্কিত। কারণ এই জাতীয় নির্বাচনে আমি আরেকটি ‘পম্পা ট্যুর’ অভিযান চালাতে পারি। এটাই তাদের ভয়’। উল্লেখ্য, পম্পা ট্যুর হলো স্থানীয় ভাষায় ওরাল সেক্স। এর আগে তিনি এ বিষয়ে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা রক্ষা করেছেন অসুস্থ থাকার পরও। এক বন্ধুর কুকুরে তার মুখ কামড়ে দিয়েছিল। তাতে তিনি বেশ আহত হন। তা সত্ত্বেও তিনি ‘পম্পা ট্যুর’ মিশন চালান। কুকুরের কামড়ের ওই ক্ষত সারতে তার বেশ কয়েক সপ্তাহ সময় লেগেছিল। এর আগে তিনি লন্ডনের দ্য সান অনলাইনকে বলেছিলেন, ‘আমার পম্পা ট্যুর চলছেই। আমি আসলে বলতে চাই আমার প্রকৃত লাইফ স্টাইলই হলো পম্পা ট্যুর। এটাই আমার মুক্তির পথ। ডাক্তার আমাকে মুখের ক্ষত নিয়ে বড় কোনো ‘মিশনে’ না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।’ গত অক্টোবরে এক হ্যালোইন পার্টিতে তিনি যখন বন্ধুর কুকুরের পিঠে চড়ে বসেছিলেন, তখন তা তাকে কামড়ে দেয়। কেটে যায় নাক, মুখ, ঁেঠাট। তখন চিকিৎসকরা তাকে পরামর্শ দেন। তারা বলেন, তার মুখের ভিতরে ও বাইরের ক্ষত সারতে সময় লাগবে নয় মাস। কিন্তু তিনি পম্পা ট্যুর দিয়ে যাদেরকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন তাদেরকে হতাশ করেন নি। তিনি এ জন্য ডিসেম্বরে ইতালির ১০টি শহর সফর করেন। এরপর ইন্সটাগ্রামে ছবি পোস্ট করেন নিজের। তাতে ক্যাপশনে লিখেছেন, পম্পা ট্যুরের প্রথম ধাপ সম্পন্ন। কিছুটা ক্লান্ত এখন। সবকিছুই ঠিক আছে। এটা হলো সম্ভবত চমৎকার সূচনা।
তিনি এ মিশনে সফর করেন রোম, ফ্লোরেন্স, বোলোগনা, ভেরোনা, মিলান, তুরিন, নেপলস, বারি, লেসি ও পালেরমো। এ সময় তিনি ঘোষণা দেন, যারা ‘না’ ভোট দিয়েছেন তারা ফরম ফিলআপ করুন। তবে কেউ কেউ এটাকে জাস্ট ভাওতাবাজি হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেন। ইন্সটাগ্রামের অনেক ব্যবহারকারী তার এমন পম্পা ট্যুরের স্বপক্ষে প্রমাণ চান।
খবর ৭১/ইঃ