জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি প্রতারণা: মওদুদ

0
261

খবর৭১: সরকারি খরচে প্রধানমন্ত্রী জনসভা করছেন অভিযোগ করে বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ বলেছেন, এসব জনসভায় সরকার প্রধান যেসব প্রতিশ্রুতি দেন তা প্রতারণা ছাড়া কিছু নয়।

শনিবার খুলনায় জনসভা করতে প্রধানমন্ত্রী যখন খুলনায় তখন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রাজধানীতে বক্তব্য রাখছিলেন এক আলোচনায়।

২০ দলীয় জোটের শরিক লেবার পার্টি আয়োজিত ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি: জাতীয় নির্বাচন ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে মওদুদ বলেন, ‘আপনারা সরকারি খরচে নৌকায় ভোট চাইবেন আর আমাদের নেত্রীকে কারাগারে রাখবেন তা হবে না।’

‘নির্বাচন আইনে আছে তফসিল ঘোষণার পর কোনো রাজনৈতিক দল ও নেতা কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে পারবে না। তাই শেখ হাসিনা এখন জনসভা করে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এটি জনগণের সাথে প্রতারণা ছাড়া আর কিছু না। এটা বেআইনি ও অনৈতিক।’

প্রধানমন্ত্রীর এভাবে প্রচার থামাতে নির্বাচন কমিশনে বিএনপি চিঠি দিলেও কমিশন জানিয়েছে, এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আইনি সুযোগ নেই।

নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে মওদুদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বলছে তাদের কিছু করার নেই। কীভাবে থাকবে তাদের তো শক্তি নেই।’

আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে মওদুদ বলেন, ‘আপনারা চান খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে নির্বাচন করে ক্ষমতা দখল করতে। কিন্তু এ সুযোগ দেশের মানুষ আর আপনাদের দেবে না। খালেদা জিয়াকে ছাড়া কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না।’

দেশের মানুষকে একবার ‘ভোট দেয়ার’ সুযোগ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, ‘একবার সুযোগ দেন যেখানে মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দেয়ার সুযোগ পারে। আপনাদের (আওয়ামী লীগ) খবর পাওয়া যাবে না।’

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে হারাতে একটি স্লোগানই যথেষ্ট বলেও মনে করেন মওদুদ। তিনি বলেন, ‘শুধু খালেদা জিয়া আমাদের সঙ্গে থাকবেন আর গ্রামের উঠান বৈঠকে মা বোনোরা শ্লোগান দেবেন ৭০ টাকা দরে চাল খাব না নৌকায় ভোট দেবো না, ১৫০ টাকায় পেঁয়াজ খাবো না, নৌকায় ভোট দেবো না।’

‘শেখ হাসিনা সংযত হলে দেশ আরও এগুতো’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরেকটু সংযত হলে দেশকে আরও এগিয়ে নেয়া যেত বলেও মন্তব্য করেন মওদুদ। বলেন, ‘তার সামনে সুযোগ ছিলো বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের কপালে যে কালিমা লোপন হয়েছে তা মুছে ফেলার। কিন্তু তিনও সেটা না করে করলেন উল্টোটা।’

‘তিনি চাইলে পারতেন মানুষের ভোটের অধিকার, গণতন্ত্র সুসংহত করতে। কিন্তু শেখ হাসিনা সেটা না করে সংবিধান সংশোধন ছাড়াই একদলীয় শাসন কায়েম করছেন।’

‘সরকার ক্ষমতায় এসে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে তিন মাসের মাঝে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় ভিসি নিয়োগ করেছে। শিক্ষক প্রক্টর, হল প্রভোস্ট, শিক্ষক নিয়োগ করে শিক্ষা ব্যবস্থায়ও দলীয়করণ করেছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস ও নকলের প্রচলন আবারও ফিরিয়ে এনেছে। এমন কোনো পরীক্ষা নেই যার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় না।’

‘শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন বেহাল দশার কারণে অন্য কোনো দেশ হলে সরকার পদত্যাগ করত। কিন্তু বর্তমান সরকার নির্লজ্জের মত বলে, অতীতেও এমন হয়েছে। কিন্তু এটি মিথ্যা কথা। আওয়ামী লীগ আমলেই প্রশ্ন ফাঁস ও নকলের ব্যবস্থা প্রচলন হয়েছে।’

‘শিক্ষামন্ত্রী ভালো মানুষ কিন্তু তিনি ব্যর্থ। তার দলের লোকেরাও সংসদে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন।’

লেবার পার্টির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর নাসির, বরকত উল্লাহ বুলু, নিতাই রায় চৌধুরী প্রমুখ।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here