শেখ দীন মাহমুদ,পাইকগাছা(খুলনা)প্রতিনিধি:
পাইকগাছার অধিকাংশ ইট ভাটায় নীতিমালা উপেক্ষা করে সরকারী সম্পত্তি ও খাল থেকে মাটি কেটে ইট তৈরী ও জ্বালানি হিসেবে কাঠ পুড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় প্রশাসন সীমাণা চিহ্নিত পূর্বক লাল পতাকা টানিয়ে মাটি কর্তনে নিষেধ করলেও প্রভাবশালী ভাটা মালিকরা অদৃশ্য ক্ষমতাবলে মাটি কর্তন ও জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার অব্যাহত রেখেছে।
সংশিষ্ট সুত্র জানায়, পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির কাশিমনগর পাইকগাছা-খুলনা প্রধান সড়কের পাশে আরবিএস ইট ভাটার যৌথ মালিক মনিরুল ইসলাম এন্ড ব্রাদার্স ও শেখ আঃ রব রঞ্জু পার্শ্ববর্র্তী নাছিরপুর খাল থেকে মাটি কেটে জাইকার অর্থায়নে সদ্য নির্মিত পীচের রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ১৫/২০ টি ট্রলি যোগে ভাটায় নিচ্ছে। সম্প্রতি মাটি বোঝাই ট্রলি উল্টে এক চালকের মৃত্যু হলেও তাদের মাটি কর্তন বন্ধ হয়নি। অন্যদিকে উপজেলার চাঁদখালীর গড়েরডাঙ্গা ও ফতেপুর সিমান্তের কাটাঁখালী স্লুইস গেটের খালের দু’পাশে সেখানকার ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য আঃ মান্নানের বিডিএম বিক্সস ও জলিল সরদারের আল্লারদান নামে দুটি ইটভাটা গড়ে উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে তারা তাদের ভাটার ইট প্রস্তুত করতে মূল উপকরণ মাটির যোগান পেতে কপোতাক্ষ নদী তীরবর্তী সরকারী খাল থেকে মাটি কেটে নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় লস্কর ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা এনামূল কবির জানান,ইতোমধ্যে সরকারী সার্ভেয়ার দ্বারা ভূমি জরিপ করে সরকারী সম্পত্তি চিহিণতপূর্বক সেখানে লাল ফ্লাগ টানিয়ে দেয়া হয়। তবে প্রভাবশালী ইউপি সদস্য আঃ মান্নান তা উপেক্ষা করে মাটি কেটে ইট পোড়াচ্ছেন। সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেণ,শুধু ইউপি সদস্য নয় পার্শ্ববর্তী ভাটা মালিক জলিল সরদারও এ সরকারী জায়গা থেকে মাটি কেটে ভাটার কাজে লাগাচ্ছেন। সূত্র জানায়,সীমাণা চিহ্নিত করার পর ভাটা মালিকরা সরকারী ছুটির দিনে দেদারছে মাটি কাটছেন। এ ব্যাপারে ভাটা মালিক ও ইউপি সদস্য আঃ মান্নান বলেন,তহশীলদার নিষেধ করার পর সরকারী জায়গা বাদে তার রেকর্ডীয় জমি থেকে মাটি কাটছেন। তবে কে বা কারা সেখান থেকে মাটি কাটতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সেখানকার অপর ভাটা মালিক জলিল সরদারের মালিকানাধীন ভাটাকে দোষারোপ করেন। পক্ষান্তরে জলিল সরদার ও তার কর্মচারীরা পাল্টা আঃ মান্নানকে মাটি কাটার জন্য দোষারোপ করেন।
এদিকে কপিলমুনির কাশিমনগরস্থ আরবিএস ভাটার ইজারা সূত্রের মালিক রঞ্জু বলেন,তিনি সরকারি খাল থেকে মাটি কাটছেন এজন্য আবার কার কাছ থেকে অনুমতি নেবেন? তবে জাইকার অর্থায়নে সদ্য নির্মিত পীচের রাস্তা দিয়ে ট্রলি যোগে মাটি নেয়ায় রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থর ব্যাপারে ভাটার মূল মালিক মনিরুল ইসলাম বলেন,সেটা সরকারের সাথে তারা বুঝবেন। প্রসঙ্গত দীর্ঘ আন্দোলনের পর বছর দু’য়েক পূর্বে জাইকা বিস্তীর্ণ জনপদের লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষের যাতায়াতের কথা চিন্তা করে সালতা নদীর উপর নব নির্মিত সেতুটির কপিলমুনি সদরের সাথে সম্পর্কযুক্ত একমাত্র সড়কটি নির্মাণ করেন।
পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফকরুল হাসান বলেন, নীতিমালা উপেক্ষা করে যে ভাটা মালিকরা সরকারী জায়গা থেকে মাটি উত্তোলন করছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
খবর৭১/ এস: