খবর৭১: সিলেটের জৈন্তাপুরে ওয়াজ মাহফিল বন্ধ করা নিয়ে সুন্নি গ্রুপ ও ওহাবি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছে অন্তত অর্ধশতাধিক লোক।
সোমবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার ৪নং-বাংলাবাজার আমবাড়ি এলাকায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত।
নিহত মোজাম্মিল হোসেন (২৫) হরিপুর মাদ্রাসার দাওয়ারা হাফসির শেষ বর্ষের ছাত্র । তার বাড়ি গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ি এলাকায়। আরেকজনের পরিচয় তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি।
আহতদের মধ্যে ত্রিশজনকে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আমবাড়ি এলাকায় একটি ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করে ওয়াবিরা । এ সংবাদ পেয়ে সুন্নি সম্প্রদায়ের লোকেরা সেই ওয়াজ মাফিল বন্ধ করতে সরেজমিনে গেলে তাদের উভয় গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় ।
একপর্যায় তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে । সংঘর্ষে এদিক-ওদিক ছুটাছুটি করতে থাকেন ওয়াজ মাহফিলে থাকা শত শত মুসল্লিরা।
প্রথম দফা সংঘর্ষে ওহাবি গ্রুপ সুন্নি সম্প্রদায়ের মুসল্লিদের মারপিট করে তাড়িযে দেয় । এসময় ঘটনাস্থলে নিহত হন সুন্নি গ্রুপের মুসল্লি হরিপুর মাদ্রাসার ছাত্র মোজাম্মিল হোসেন ঘটনাস্থলে নিহত হন। পরে ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর আরও একজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক। তাদের সেখানেই ভর্তি করা হয়েছে।
পরে এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালায় সুন্নি সম্প্রদায়ের মুসল্লিরা । তখন ওহাবি গ্রুপের লোকেরা প্রাণ বাঁচাতে স্থানীয় এলাকার বিভিন্নবাসা বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিলে সুন্নি মুসল্লিরা বাসা বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় সুন্নিপন্থিরা চারটি গ্রাম জ্বালাও পোড়াও, ভাংচুর চালায়। এসংঘর্ষ মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত চলে।
পরে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় এলাকার চেয়ারম্যান ও মাতব্বরদের সহযোগীতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার ওসি ময়নুল জাকির জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, সদস্যরা টহল রয়েছেন।পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।
খবর৭১/এস: