কাজ শুরু করেনি হাইকোর্টের করা তদন্ত কমিটি

0
515

খবর৭১: এসএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলেও কাজ শুরু করেনি ঘটনা তদন্তে উচ্চ আদালতের গঠন করে দেয়া তদন্ত কমিটি। আর পরীক্ষা শেষ হওয়ার দিন এ বিষয়ে আদেশ গেছে কমিটির প্রধানের কাছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমানের তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হয়েছে ২৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার। একই দিন হাইকোর্টের আদেশ হাতে পান যাকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে সেই ড. কায়কোবাদ।

এসএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষার মধ্যে নৈর্ব্যত্তিক বা এমসিকিউএর প্রশ্নগুলোই ফাঁস হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। পরীক্ষার দুই ঘণ্টা থেকে আধা ঘণ্টা আগে এই প্রশ্নগুলো পাওয়া গেছে।

এই ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। তারা দুই এক দিনের মধ্যে প্রতিবেদনও জমা দেবে। পরীক্ষা শুরুর আগে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছিলেন, প্রশ্ন ফাঁস হলে পরীক্ষা বাতিল হবে। কিন্তু সে সিদ্ধান্ত না আসায় এ বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি ওই হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন এক আইনজীবী।

পরদিন আবেদনের ওপর শুনানি করে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা তদন্তে দুইটি কমিটি গঠন করে দেয় হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। এর একটি প্রশাসনিক কমিটি, অপরটি বিচারিক কমিটি।

প্রশাসনিক কমিটির প্রধান করা হয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদকে।

পরীক্ষা শেষ হওয়ার দিক আদালতের আদেশ হাতে পেয়েছেন জানিয়ে কায়কোবাদ বলেন, ‘কিন্তু এখনও আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু করতে পারিনি।’

কেন পারেননি-এমন প্রশ্নে এই প্রযুক্তিবিদ বলেন, ‘আদালতের রায়ে বলেছেন, কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব। কিন্তু ওই অতিরিক্ত সচিবের নাম নেই। আবার পুলিশের ডিআইজি। কিন্তু তার নাম নেই। এভাবে অনেক সদস্য আছেন তাদের পদবি আছে। কিন্তু নাম নেই। সেগুলো আমাদের যোগাযোগ করে নাম নিয়ে তারপরে বসতে হবে। এতে একটু সময় লাগবে।’

পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে, এখন তদন্ত করা কতটা ফলপ্রসু হবে- এমন প্রশ্নে বুয়েটের এই অধ্যাপক বলেন, ‘পরীক্ষা শেষ হয়েছে তাতে কোনো সমস্যা নেই। তবে আমরা খুব শিগগিরই একসঙ্গে বসে কাজ শুরু করব।’

গত কয়েক বছর ধরেই প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে। তবে এবারের মাত্রাটা ছিল একটু বেশি। আর এই ঘটনায় বহু মানুষ আটকও হয়েছে এবার। সব মিলিয়ে সংখ্যাটি ১৫৩ জন। আর ৫২টি মামলাও হয়েছে এই ঘটনায়।

তবে যারা ধরা পড়েছে তারা প্রায় সবাই ফেসবুকে প্রশ্ন ছড়ানোর সঙ্গে জড়িত। এরা কীভাবে এবং কাদের মাধ্যমে প্রশ্ন পেতেন, সেই প্রশ্নের জবাব পাওয়া যায়নি এখনও।
খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here