এম শিমুল খান, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় ডিস লাইন ব্যবসাকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের তিন নেতার দু-গ্রুপের সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় আহত হয় ৪ জন। এছাড়া ওই ঘটনায় আশংকাজনক অবস্থায় ১ জনকে ঢাকায় প্রেরন করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় উভয় পক্ষ মামলা করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, মুকসুদপুর উপজেলায় এম এম ক্যাবলস এর মালিক উপজেলা কৃষকলীগের আহব্বায়ক লুৎফর রহমান মোল্যা ও তানিয়া ডিস ক্যাবলস এর মালিক আল আমিন সরদারের মধ্যে ডিস ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু দিন যাবত বিবাদ চলে আসছিল। লুৎফর মোল্যাকে নেপথ্যে থেকে সমর্থন দেন আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান মিয়া ও তার ছেলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আশিকুর রহমান রনি।
অপরদিকে তানিয়া ক্যাবলসকে নেপথ্যে থেকে সমর্থন দেন গোপালগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য ফারুক খানের ভাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির খান এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম শিকদার।
বহুগ্রাম ইউনিয়নে লুৎফর রহমানের পক্ষে সাব কন্টাক্টার ডিস লাইন সংযোগ দিতে গেলে তানিয়া ক্যাবলস এর সাব কন্টাক্টার খায়ের শেখ এ সময় বাধা দেয়। এ নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরে উত্তেজনা চলছিল। ২০ ফেব্রুয়ারী এম এম ক্যাবলস এর পক্ষে ১০/১২টি মোটর সাইকেল নিয়ে প্রায় ২৫-৩০ জন বহুগ্রাম ইউনিয়নে ডিস লাইনের সংযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে সুরাহা করতে গেলে পূর্বেই অবস্থানরত খায়েরের লোকজন বহুগ্রাম নতুন রাস্তার ব্রিজের উপরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নেয়। মটর সাইকেল ব্রিজের উপর উঠতেই আক্রমনের স্বীকার হয় মোটর সাইকেল আরোহীরা। এ সময় খায়েরের লোকজনের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলে চারজন আহত হয় এবং চারটি মটর সাইকেল ভাংচুর করা হয়।
খবর পেয়ে মুকসুদপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে মুকসুদপুর হাসপাতালে পাঠায়। মারাত্মক আহত অবস্থায় ছাত্রলীগ নেতা তামিম নামে একজনকে প্রথমে ফরিদপুরে পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়। ঘটনার দিন রাতে আতিয়ার মিয়ার পক্ষ থেকে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে মুকসুদপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরের দিন রাতে সাব্বির খানের পক্ষ থেকে মুকসুদপুর উপজেলা কৃষকলীগ, উপজেলা ছাত্রলীগ ও পৌর ছাত্রলীগের ৫ জনসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে ২৫ জনের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এ ঘটনায় ওই এলাকায় বর্তমানে দু’গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছে এলাকাবাসী।
খবর ৭১/ এস: