খবর৭১: প্রশ্নফাঁস রোধে শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী, শিক্ষাবিদ, সুশীল সমাজসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চেয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ।
তিনি বলেন, ‘প্রশ্নফাঁসের এখন যে পরিস্থিতি, তা রোধ করা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এজন্য অভিভাবকদের সবচেয়ে বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে। কারণ, প্রশ্নফাঁস রোধে শুধু বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেই হবে না, বরং পরীক্ষা পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনতে হবে। আর পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে চাইলে অনেক অভিভাবক আছেন, যারা এ পরিবর্তনকে সহজে মেনে নিতে চাননা।’
শুক্রবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এফডিসি’র এটিএন বাংলার হলরুমে অনুষ্ঠিত ‘বিতর্ক বিকাশ-গ্র্যান্ড ফাইনাল, যুক্তির আলোয় খুঁজি মানুষের মুক্তি’ শীর্ষক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘২০১৫ সালে আমরা যখন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রশ্নপত্রে এমসিকিউতে ১০ নম্বর কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিই, তখন অনেক অভিভাবক এতে মনক্ষুণœ হন। কারণ হিসেবে তারা আমাকে জানিয়েছেন, এতে তাদের সন্তানরা ‘জিপিএ ফাইভ’ থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।’
এ সময় ভালো ফলাফলের চেয়ে নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন ভালো মানুষ হিসেবে সন্তানদের গড়ে তুলতে অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানান শিক্ষামন্ত্রী।
নাহিদ বলেন, ‘আমরা আসন্ন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে আরও কঠোর হব। এতে প্রশ্নপত্র পদ্ধতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন না হলেও আগামী বছর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রশ্নপত্র পদ্ধতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার চেষ্টা করব। তবে সবকিছু হবে শিক্ষাবিদসহ সংশ্লিষ্ট সবার মতামতের ভিত্তিতে।’
তিনি জানান, এবারের মাধ্যমিক ও সমমনা পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত ১৫৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর বিপরীতে মামলা হয়েছে ৫২টি।
খবর৭১/এস: