খবর৭১: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের উপর শুনানির জন্য আগামী রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় জামিন আবেদনের উপর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। সাড়ে ১২টার দিকে আদালত শুনানি মুলতবি করে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় সময় ধার্য করেন।
এর আগে একই আদালত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল গ্রহণ করেন। আপিল শুনানি জন্যও আগামী রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সকালে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এতে বয়স, অসুস্থ্যতাসহ ৩২ যুক্তি তুলে ধরেন আইনজীবীরা। এবিষয়ে সকাল সাড়ে ১০টার পর শুনানির কথা ছিল। তার আগেই অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতের কাছে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সময় চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
সকালেই খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের কপি পায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রাষ্ট্রপক্ষ। সকাল ৯টার দিকে দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে জামিন আবেদনের কপি সরবরাহ করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
মঙ্গলবার বিকালে আপিল আবেদনটি বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে মেনশন (উল্লেখ) করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। পরে আদালত আবেদনটির গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্যের আদেশ দেন।
১ হাজার ২২৩ পৃষ্ঠার আপিল দায়ের করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। এতে প্রাথমিকভাবে মোট ৪৪টি যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া আপিল আবেদনের ওকালতনামায় খালেদা জিয়ার পক্ষে মোট ২৮ জন আইনজীবীর স্বাক্ষর রয়েছে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান এ মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তারেক রহমানসহ বাকিদের ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার পর ওই দিনই কড়া নিরাপত্তায় খালেদা জিয়াকে ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই বন্দী আছেন।
খবর৭১/এস: