খবর ৭১: ভাষা আন্দোলন, শিল্পকলা, সাংবাদিকতা, গবেষণা, অর্থনীতি, সমাজসেবা, ভাষা ও সাহিত্যে বিশেষ অবদানেরর জন্য একুশজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে দেওয়া হয়েছে একুশে পদক প্রদান করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার ১১টায় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে পদকপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে চারজন পেয়েছেন মরণোত্তর পুরস্কার।
ভাষা আন্দোলনে মরহুম আ. জা. মা. তকীউল্লাহ (মরণোত্তর) ও অধ্যাপক মির্জা মাজহারুল ইসলাম পেয়েছেন একুশে পদক ২০১৮।
শিল্পকলার সংগীত বিভাগে একুশে পদক পেয়েছেন পাঁচজন। তারা হলেন শেখ সাদি খান, সুজেয় শ্যাম, ইন্দ্র মোহন রাজবংশী, খুরশীদ আলম ও মতিউল হক খান।
নৃত্যশিল্পী মিনু হক একুশে পদক পেয়েছেন শিল্পকলার নৃত্যে বিশেষ অবদানের জন্য।
অভিনেতা হুমায়ূন ফরীদি মরণোত্তর একুশে পদক পেয়েছেন শিল্পকলার অভিনয় বিভাগে।
নিখিল সেন (নিখিল কুমার সেনগুপ্ত) শিল্পকলার নাটকের জন্য, কালিদাস কর্মকার শিল্পকলার চারুকলায় ও গোলাম মুস্তাফা শিল্পকলার আলোকচিত্রে পেয়েছেন একুশে পদক।
সাংবাদিকতায় ২০১৮ সালের একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক হলেন রণেশ মৈত্র। গবেষণায় মরণোত্তর পদক পেয়েছেন ভাষাসৈনিক প্রফেসর জুলেখা হক।
অর্থনীতিতে ড. মইনুল ইসলাম ও সমাজসেবায় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন পেয়েছেন একুশে পদক।
ভাষা সাহিত্যে পাঁচজন পেয়েছেন একুশে পদক। তারা হলেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম খান (কবি হায়াৎ সাইফ), সুব্রত বড়ুয়া, রবিউল হুসাইন ও মরহুম খালেকদাদ চৌধুরী।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার হচ্ছে একুশে পদক। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত বছরের ৮ আগস্ট সংশোধিত ‘জাতীয় পুরস্কার/পদক সংক্রান্ত নির্দেশাবলী’তে স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক, বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার, বেগম রোকেয়া পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের অর্থ বৃদ্ধি করে।
আগে ১৮ ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্রের সঙ্গে এক লাখ টাকা দেওয়া হত। অর্থ বাড়িয়ে দুই লাখ টাকা করা হয়।