খবর৭১: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খুররম দস্তগীর খান বলেছেন, সৌদি আরবে সেনা মোতায়েন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো যাবে না। তিনি দাবি করেন, দেশের ও সেনাদের নিরাপত্তার স্বার্থে এসব তথ্য জানানো সম্ভব নয়।
সোমবার সিনেট অধিবেশনে খুররম দস্তগীর এসব কথা বলেছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এ ধরনের কথায় ক্ষুব্ধ হয়ে তার ও প্রধানমন্ত্রী শাহীদ খাকান আব্বাসির বিরুদ্ধে সংসদ অবমাননার জন্য ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছেন সিনেট চেয়ারম্যান রাজা রব্বানি।
তিনি জানতে চান, সৌদি আরবে ১,৬০০ সেনা মোতায়েন থাকার পরও কেন নতুন করে ১,০০০ সেনা পাঠানো হচ্ছে এবং এসব সেনা কী সৌদি আরেবর ভেতরেই মোতয়েন করা হবে?
জবাবে খুররম দস্তগীর আবারো বলেছেন, “সব কথা বলা যাবে না।” তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শাহীদ খাকান আব্বাসির অনুমোদনে সৌদি আরবে সেনা পাঠানো হচ্ছে। এসময় রাজা রব্বানি বলেন, সংসদকে পাশ কাটিয়ে যদি আপনারা সেনা মোতায়েন করবেন তাহলে কেন সংসদের শ্রেষ্ঠত্বের কথা বলেন?
তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনি সংসদের সম্মান ধূলায় মিশিয়ে দিয়েছেন। রাজা রব্বানি জানান, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গত কয়েক মাস ধরে সেনা মোতায়েনের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানার পরও তা গোপন রেখে সংসদের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছেন। এর অবস্থায় কেন আপনাদের বিরুদ্ধে সংসদ অবমামনার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে না? রাজা রব্বানি প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, “আপনি আমাদেরকে ললিপপ দেবেন না; আমরা কেউ শিশু নই।”
সিনেটর ফরহাতুল্লাহ বাবর বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি যে, ইয়েমেন সীমান্তের কাছে পাকিস্তানি সেনাদেরকে মোতায়েন করা হবে। আপনি পরিষ্কার করুন, আসলে সেনাদেরকে কোথায় মোতায়েন করা হবে?”
জবাবে দস্তগীর আবারো বলেন, “সৌদি আরবের কোথায় আমাদের সেনা মোতায়েন করা হবে তা জানতে চাইবেন না; সেটা প্রকাশ করা যাবে না।” এরপর তিনি সৌদি আরবে পাকিস্তানি সেনা মোতায়েনের পক্ষে সাফাই গেয়ে বক্তব্য দেন।
গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর বা আইএসপিআর এক বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছিল যে, সৌদি আরবে নতুন করে প্রায় এক ডিভিশন সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে। এ ঘটনার পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী খুররম দস্তগীরকে সিনেটে তলব করা হয়।
খবর৭১/জি: