খবর৭১: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তারপরই একুশের প্রথম প্রহর। শুরু হবে ভাষা শহীদদের প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন। এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শহীদ মিনার এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে নিয়েছে। বসানো হয়েছে বেশ কয়েকটি তল্লাশি চৌকি। কারো গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে শরীর তল্লাশি করা হচ্ছে।
সোমবার বিকালে দেখা গেছে, শহীদ মিনারে শেষ সময়ের ঝাড়ু, ধোয়া-মোছা ও রংয়ের কাজ হয়েছে। শহীদ মিনার এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে র্যাব ও পুলিশের একাধিক ওয়াচ টাওয়ার। পুরো এলাকায় টহল দিচ্ছে র্যাব ও পুলিশ। অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিজস্ব পোশাক ছাড়াও সাদা পোশাকে নজরদারি করছেন। র্যাবের ডগ স্কোয়াড দিয়ে শহীদ মিনার এলাকায় তল্লাশি চালানোও হয়েছে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আট জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও ১৩ জন রং মিস্ত্রি কাজ করছেন। রাত ১১টা পর্যন্ত কিছুক্ষণ পরপর ঝাড়ু দেয়া হবে। এরই মধ্যে শহীদ মিনারে সূর্য বসানো হয়েছে।
মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি না থাকলেও সবকিছু মাথায় রেখেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সবাই যাতে নিরাপদে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে পারেন সে জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনার এলাকায় ইউনিফর্ম পরিহিত পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা বাহিনীও নিয়োজিত থাকবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার সড়কগুলোতে চারুকলার শিক্ষার্থীরা আলপনা এঁকেছেন। সড়কগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। শহীদ মিনার ও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অতিরিক্ত এলইডি লাইট লাগানো হয়েছে। কিছু সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা, মন্ত্রী পরিষদ, তিন বাহিনীর প্রধান ও পুলিশ প্রধানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং বিভিন্ন সংগঠন।
খবর৭১/জি: